রোবোটিক ভ্যাকুয়াম ক্লিনার রুমবার প্রস্তুতকারক iRobot-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি তাদের টিকে থাকার সম্ভাবনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এর প্রধান কারণ অ্যামাজনের সঙ্গে ১.৭ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ভেঙে যাওয়া এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্য ভিত্তিক কোম্পানিটি তাদের ত্রৈমাসিক আয়ের হিসাব প্রকাশ করার সময় জানায়, তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার ক্ষমতা সম্পর্কে তারা “যথেষ্ট সন্দিহান”। এই ঘোষণার পরেই কোম্পানির শেয়ারের দাম ৩০ শতাংশ কমে যায়।
জানা গেছে, iRobot-এর পরিচালনা পর্ষদ এখন “ব্যবসার বিকল্প কৌশল” পর্যালোচনা করছে। এর অর্থ হতে পারে, হয়তো তারা কোম্পানি বিক্রি করে দেবে, অথবা তাদের বিশাল ঋণের বোঝা কমাতে অন্য কোনো পদক্ষেপ নেবে।
প্রায় ১৪ মাস আগে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রকদের আপত্তির কারণে অ্যামাজন iRobot কেনার পরিকল্পনা বাতিল করে। এর পরপরই iRobot-এর প্রতিষ্ঠাতা কলিন অ্যাঙ্গেল কোম্পানি ছেড়ে যান, শেয়ারের দর দ্রুত কমতে থাকে এবং কোম্পানিটি তাদের অর্ধেকের বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়।
পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য iRobot চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোম্পানিটি তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে আটটি নতুন রুমবা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বাজারে এনেছে। iRobot আশা করছে, নতুন পণ্যগুলো তাদের আয় বাড়াতে সাহায্য করবে। যদিও আগের বছরের তুলনায় গত চতুর্থ প্রান্তিকে তাদের আয় ৪৪ শতাংশ কমে গেছে।
কোম্পানি সতর্ক করে বলেছে, নতুন পণ্যগুলোর “সাফল্যের কোনো নিশ্চয়তা নেই”। এর কারণ হিসেবে তারা ভোক্তা চাহিদা, প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং শুল্ক নীতির মতো বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করেছে।
তবে, iRobot-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গ্যারি কোহেন এখনো বেশ আশাবাদী। তিনি মনে করেন, “নতুন উদ্ভাবনী পণ্যের শক্তিশালী সরবরাহ” আগের পণ্যগুলোর তুলনায় লাভের মার্জিন বাড়াতে সাহায্য করবে এবং “২০২৫ সাল থেকে বছরের পর বছর আয়ের প্রবৃদ্ধি” শুরু করতে সহায়ক হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন