1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
March 15, 2025 3:30 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
জেল-জুলুম: রাগবি তারকা রকি এলসমের জীবনে নেমে আসা ভয়ঙ্কর পরিণতি! মার্কিন বাজারে অস্থিরতা! পতনের পর কি ঘুরে দাঁড়াবে? মহাকাশে আলোড়ন! মৃত নক্ষত্র থেকে আসা রেডিও তরঙ্গ, চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার ট্রাম্পের মন্তব্যে ইউক্রেন যুদ্ধ কি তবে শেষের পথে? এআই-এর গল্প নিয়ে লেখকদের বিস্ময়! যন্ত্রের কলমে কেমন সৃষ্টি? নোভা টুইনস: হেভি মেটালের সমালোচকদের কীভাবে চুপ করালেন? গ্রিনস পাউডার: স্বাস্থ্যকর নাকি প্রতারণা? গুয়ান্তানামো বে’তে অভিবাসী আটকের ট্রাম্প পরিকল্পনা: তীব্র বিরোধিতা! ফিলিস্তিনি ছাত্রের আটকের প্রতিবাদে ফুঁসছে যুক্তরাষ্ট্র, ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপ ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে: অভিনেত্রী হিসেবে গর্বিত, জানালেন ডেব্রা মেসিং

আডিরনড্যাক রেল ট্রেইলে: সাইকেলে ভ্রমণ, অসাধারণ দৃশ্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Friday, March 14, 2025,

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশাল অরণ্যভূমি, অ্যাডিরনড্যাক পার্কে, পুরনো একটি রেললাইনকে নতুনভাবে সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি পথ। এই পথের নাম অ্যাডিরনড্যাক রেল ট্রেইল। প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি এখন সাইকেল চালানো, হাঁটা বা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই রেল ট্রেইলটি নিউ ইয়র্ক রাজ্যের লেক প্লাসিড, সারানাক লেক এবং টুপার লেক—এই তিনটি অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। এই জায়গাগুলো একসাথে ‘ট্রাই-লেকস’ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। কর্তৃপক্ষের ধারণা, এই আকর্ষণীয় রেল ট্রেইলটি পর্যটকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং এই অঞ্চলে পর্যটকদের আনাগোনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রেল ট্রেইলের আকর্ষণ শুধু প্রকৃতির শোভা বর্ধনই নয়, বরং এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। পথ ধরে যাওয়ার সময়, দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন এখানকার পুরনো রেলওয়ের ইতিহাস এবং স্থানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে। বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ সাইনবোর্ড, যা এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কেও ধারণা দেয়। এটি যেন এক চলমান জাদুঘর, যা একই সাথে শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ করে দেয়।

অ্যাডিরনড্যাক রেল ট্রেইল অ্যাসোসিয়েশনের পরামর্শদাতা ক্যাথলিন মার্টেন্স জানান, “এই ট্রেইলটি স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ। এখানে আসা মানুষজন প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করতে পারে।”

এই অঞ্চলের পাহাড়, হ্রদ এবং বন্য প্রকৃতির মাঝে চমৎকার কিছু গ্রামও রয়েছে, যা এই রেল ট্রেইলের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তোলে। যারা প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। সাইকেল আরোহীদের জন্য এই পথটি বিশেষভাবে পছন্দের, কারণ এখানে সড়কের কোনো ঝামেলা নেই। লেক প্লাসিড থেকে সারানাকের দিকে ৬.৭ মাইলের একটি অংশে, সড়কের বাধা ছাড়াই সাইকেল চালানো যায়।

এই রেল ট্রেইলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এটি সব ধরনের মানুষের জন্য উন্মুক্ত। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন ব্যক্তি, বয়স্ক এবং ই-বাইক ব্যবহারকারীরাও এই পথে প্রকৃতির আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। এই পথের আশেপাশে রয়েছে বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা, যেখানে খাবার ও পানীয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া, কাছাকাছি স্থানে বিভিন্ন ধরনের আবাসনেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

আশির দশকের আগে, এই রেললাইনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মালবাহী পথ ছিল। উইলিয়াম সেওয়ার্ড ওয়েব নামের একজন ব্যক্তি দুর্গম অ্যাডিরনড্যাক অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে এই রেলপথ তৈরি করেন। এই রেলপথ দিয়ে কয়লা এবং অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী আনা-নেওয়া করা হতো। স্থানীয় বন থেকে কাঠ এবং হ্রদের বরফও এখান দিয়ে পরিবহন করা হতো। ১৯৭৪ সালে নিউ ইয়র্ক রাজ্য এই রেললাইনটি কিনে নেয়। পরবর্তীতে, ২০২১ সালে এই রেলপথের লাইনের কাঠামো সরিয়ে ফেলা হয় এবং এটিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সংস্কার করা হয়।

পর্যটকদের সুবিধার জন্য, এই রেল ট্রেইলের বিভিন্ন স্থানে তথ্যমূলক সাইনবোর্ড এবং কিয়স্ক স্থাপন করা হয়েছে। এখানে আসা দর্শনার্থীরা সহজেই পথের ইতিহাস এবং আশেপাশের অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারে। এই পথে এখনো পুরনো রেলের কিছু স্মৃতিচিহ্ন, যেমন—মাইলফলক ও বাঁশি বাজারানোর স্থানগুলো দেখা যায়।

বসন্তকালে, সাইকেল আরোহীরা এই পথে ভিড় করে এখানকার স্থানীয় সংস্কৃতি ও প্রকৃতির সঙ্গে পরিচিত হন। সারানাক লেকের রিভারট্রেইল বিয়ারওয়ার্কস-এর মতো নতুন ব্যবসা কেন্দ্রও তৈরি হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন ধরনের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিয়ার পাওয়া যায়। এছাড়া, লেক কলবি বিচ-এর মতো সুন্দর স্থানগুলোতে বনভোজন করারও সুযোগ রয়েছে।

অ্যাডিরনড্যাক রেল ট্রেইলের শুরু লেক প্লাসিডের স্টেশন স্ট্রিট থেকে। লেক প্লাসিড গ্রাম থেকে মেইন স্ট্রিট ধরে ৭৩ নম্বর সড়কের সংযোগস্থলে ডান দিকে মোড় নিতে হবে। এরপর স্টেশন স্ট্রিটে ডান দিকে মোড় নিয়ে, পুরনো ডেপোর ঐতিহাসিক জাদুঘরের পাশ দিয়ে গেলেই ট্রেইলের শুরুটা খুঁজে পাওয়া যাবে।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT