1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
August 13, 2025 6:21 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
আলাস্কা থেকে সত্যিই রাশিয়া দেখা যায়! ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার আসল কারণ কি মানসিক স্বাস্থ্য? চাঞ্চল্যকর তথ্য! আজকের প্রধান খবর: ট্রাম্পের ক্ষমতা, রাশিয়ার হুমকি, এবং কোভিড-১৯! মাদারীপুরে ৪০০ শিক্ষার্থীদের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা ক্রিস্টিয়ান কোলম্যানের কাছে ক্ষমা চাইলেন শ্যাকারি রিচার্ডসন, তোলপাড়! আতঙ্ক! বাড়ছে ডিটেনশন ফ্লাইট, অভিবাসীদের উপর কী ঘটছে? এআই বিপর্যয়: মানুষ বাঁচানোর একমাত্র উপায় জানালেন ‘এআইয়ের গডফাদার’! এভারেস্টের আকাশছোঁয়া খরচের মাঝে, নেপালে বিনামূল্যে পর্বত আরোহণের সুযোগ! মার্কিন অর্থনীতিতে ট্রাম্পের থাবা: চীনের পথে? ভবিষ্যৎ কি? বদলে গেলেন মেয়র! ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছেন না কেন?

খাবারের সঙ্গে মনের গভীর সম্পর্ক! জানলে চমকে যাবেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Saturday, March 15, 2025,

স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক: নতুন গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

“আপনি যা খান, তাই আপনি”- এই কথাটি হয়তো বহুবার শুনেছেন। শরীরের মতো মনের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও খাবারের ভূমিকা অনেক। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো বলছে, সঠিক খাবার নির্বাচন করলে এবং ভুল খাবার ত্যাগ করলে ধীরে ধীরে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো যেতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ার ডেকিন ইউনিভার্সিটির ফুড অ্যান্ড মুড সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর নিউট্রিশনাল সাইকিয়াট্রি রিসার্চের সভাপতি অধ্যাপক উলফগ্যাং মার্ক্স বলেন, “হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের মতো শারীরিক সমস্যার ক্ষেত্রে যেমন খাদ্যাভ্যাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনই খাবার মানসিক স্বাস্থ্য, মেজাজ এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকেও প্রভাবিত করে।”

গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। অধ্যাপক মার্ক্সের মতে, “যেসব খাবারে পুষ্টিগুণ কম থাকে এবং যা অতিমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সেগুলোর সঙ্গে বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন) ও উদ্বেগের (অ্যাংজাইটি) ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।” তাঁর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রচুর পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত খাবার খান, তাঁদের মধ্যে উদ্বেগের ঝুঁকি প্রায় ৪৮ শতাংশ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি ২২ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে গুরুতর মানসিক অবসাদ (মেজর ডিপ্রেশন) কমানো সম্ভব। ২০২৩ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মেডিটারিয়ান ডায়েট অনুসরণ করলে শিশুদের এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং মনোযোগের অভাবজনিত অতি সক্রিয়তা ব্যাধি (এডিএইচডি) -এর ঝুঁকি কমাতে পারে।

এছাড়াও, ৭,৪৩৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি পরিমাণে শস্য, সবজি, ফল, দই, মাছ ও সি-ফুড, দুধ এবং ফলের রস খান, তাঁদের মধ্যে মানসিক চাপ তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

আসলে, খাবারের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসার সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন যোগ করা গেলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ‘হিলিং দ্য মডার্ন ব্রেইন’ ও ‘ইট টু বিট ডিপ্রেশন’ বইয়ের লেখক ড. ড্রু রামসে মনে করেন, মানুষজন হয়তো এখনো খাদ্য নির্বাচনের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার যোগসূত্রটি ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারেন না।

খাবার কীভাবে মন ভালো করতে পারে?

খাবার কীভাবে আমাদের মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে, আসুন সেই বিষয়ে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:

  • প্রদাহ (ইনফ্ল্যামেশন): খাবার শরীরে এবং মস্তিষ্কে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার এই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • অক্সিডেটিভ স্ট্রেস: খাবার গ্রহণ আমাদের শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি করতে পারে, যা নিউরোইনফ্লামেশন এবং নিউরোডিজেনারেশন সৃষ্টি করতে পারে।
  • নিউরোট্রান্সমিটার: কিছু খাবার ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপাদানগুলো আমাদের মেজাজের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।
  • গাট-ব্রেইন অক্ষ (Gut-brain axis): অন্ত্র এবং মস্তিষ্কের মধ্যে একটি সংযোগ রয়েছে, যা ‘গাট-ব্রেইন অক্ষ’ নামে পরিচিত। অন্ত্রের স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। আমাদের অন্ত্রে বসবাসকারী অণুজীব বা মাইক্রোবায়োম মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতার উপসর্গগুলোর ওপর প্রভাব ফেলে।
  • ব্রেইন-ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (বিডিএনএফ): খাবার ব্রেইন-ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর (বিডিএনএফ)-এর মাত্রা প্রভাবিত করতে পারে। বিডিএনএফ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কী খাবেন?

মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে। নিচে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো:

  • মাছ ও সি-ফুড: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ, যেমন – রুই, কাতলা, ইলিশ ইত্যাদি এবং সি-ফুড আমাদের মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। মাছ প্রোটিনেরও ভালো উৎস, যা ডোপামিন ও সেরোটোনিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়তা করে।
  • ফার্মেন্টেড ফুড: দই, ঘোল, এবং বিভিন্ন ধরনের সবজির আচার আমাদের অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। এই খাবারগুলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
  • রঙিন ফল ও সবজি: রঙিন ফল ও সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। ভিটামিন ও খনিজ উপাদানে ভরপুর এই খাবারগুলো মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
  • শস্য ও বীজ: শস্য ও বীজ ভিটামিন বি, খনিজ এবং ফাইবারের ভালো উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি ফাইবার গ্রহণ করেন, তাঁদের মধ্যে বিষণ্ণতা ও উদ্বেগের উপসর্গ কম দেখা যায়।
  • বাদাম: বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খেলে বিষণ্ণতার ঝুঁকি কমে।
  • হার্বস ও মশলা: হলুদ, দারুচিনি ইত্যাদি মশলা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
  • ডার্ক চকলেট: ডার্ক চকলেটে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।

এসব খাবার নিয়মিত গ্রহণ করা এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার ত্যাগ করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব।

তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT