যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের সদর দফতরে এক ব্যতিক্রম ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন। মূলত অবৈধ অভিবাসন এবং মাদক পাচার প্রতিরোধের ওপর আলোকপাত করার কথা থাকলেও, সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে তাঁর ব্যক্তিগত ক্ষোভই ছিল প্রধান বিষয়।
ঐতিহ্য ভেঙে বিচার বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ মঞ্চ তৈরি করা হয়, যেখানে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্য পেশ করেন। নীল মখমলের পর্দা দিয়ে সজ্জিত মঞ্চটি যেন বিচার বিভাগের ওপর ট্রাম্পের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রতীক হয়ে ওঠেছিল। সাধারণত, এই হলঘরটি গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ঘোষণা এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা থেকে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।
প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলাগুলোকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘অপরাধী পরিবারের প্রধান’ হিসেবেও অভিহিত করেন। মামলার শুনানির সময় তাঁর আইনজীবীদের ভূমিকার প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেন, তারা বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। তাঁর আইনজীবী টড ব্ল্যাঞ্চ ও এমিল বোভের পাশাপাশি বিচার বিভাগের চিফ অব স্টাফ চ্যাড মিজেলের প্রতিও তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ট্রাম্পের সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন বিচারক আইলিন ক্যানন। গোপন নথি সংক্রান্ত একটি মামলায় ক্যানন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করে দেন। ক্যাননের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়ে ট্রাম্প বলেন, বিচারকদের সমালোচনা করা উচিত নয়, কারণ এতে তাঁরা প্রভাবিত হতে পারেন।
ভাষণে ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে অবৈধ অভিবাসন বন্ধের ওপর জোর দেন। তিনি তাঁর শাসনামলে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের সংখ্যা হ্রাসের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এছাড়াও, তিনি অবৈধ ফেন্টানিল মাদক প্রতিরোধের জন্য একটি বিজ্ঞাপন প্রচারণার ঘোষণা দেন। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম মাদক ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন, যেখানে মাদক সেবনের ফলে মানুষের শারীরিক অবস্থার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান