মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গ্রীষ্মকালে তীব্র গরম আবহাওয়ার কারণে জনস্বাস্থ্যে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। দেশটির ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (National Weather Service) এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (Centers for Disease Control and Prevention) এই গরম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নতুন পূর্বাভাস তৈরি করেছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন এখন শুধু আমেরিকার একার সমস্যা নয়, বরং এটি বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র।
যুক্তরাষ্ট্রে গরমের তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে, সেখানকার হাসপাতালগুলোতে হিটস্ট্রোক ও অন্যান্য গরম-সংক্রান্ত অসুস্থতা নিয়ে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপমাত্রার চরম রূপ এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে মানুষের ওপর এর প্রভাব কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হচ্ছে। যেমন, গত বছর জুন মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে গড়ে প্রায় ৬ কোটির বেশি মানুষ তীব্র গরমের কবলে পড়েছিল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে হিটওয়েভ বা গরমের ঢেউ এখন অনেক বেশি সাধারণ ঘটনা। এগুলো আগের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে এবং তীব্রতাও বাড়ছে। রাতের বেলা তাপমাত্রা কমার পরিবর্তে তা আরও বাড়ছে, যা মানুষের জন্য স্বস্তি নিয়ে আসছে না। গরমের এই তীব্রতা ভাঙছে আগের সব রেকর্ড। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস প্রতিদিন বিভিন্ন অঞ্চলের সম্ভাব্য তাপমাত্রা কত হতে পারে, সে বিষয়ে পূর্বাভাস দিচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে, তাপমাত্রা বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এমন এলাকাগুলোকে তারা চিহ্নিত করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বাস্তব উদাহরণ। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষভাবে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতি থেকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পাই। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও গরমের তীব্রতা বাড়ছে। গ্রীষ্মকালে এখানেও স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, বাড়ছে হিটস্ট্রোকের মতো ঘটনা। তাই, আমাদেরও সচেতন হতে হবে এবং গরম থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের মতো, আমাদের দেশেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কতার ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন