মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর অধীনে কয়েকশ’ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। যদিও একজন ফেডারেল বিচারক এই বিতাড়ন প্রক্রিয়া স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, বিতাড়িত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ট्रेन দে আরাগুয়া’-এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম রয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারকো রুবিও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শনিবার প্রেসিডেন্টের নির্দেশের পর কয়েকশ’ সহিংস অপরাধীকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। রুবিও আরও জানান, এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে এই বিতাড়িত অপরাধীদের কারাগারে বন্দী করতে রাজি হয়েছেন।
বুকেলে এমএস-১৩ গ্যাং-এর শীর্ষ দুই নেতা এবং আরও ২১ জন সালভাদরীয়কে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছেন, যাতে তাদের বিচার করা যায়।
পরবর্তীতে এক টুইট বার্তায় রুবিও জানান, যুক্তরাষ্ট্র এমএস-১৩ গ্যাং-এর দুই শীর্ষ নেতা এবং তাদের মোস্ট ওয়ান্টেড ২১ সদস্যকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠিয়েছে।
এছাড়াও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ২৫০ জনের বেশি ‘ট्रेन দে আরাগুয়া’ গ্যাং-এর সদস্যকে এল সালভাদরে পাঠানো হয়েছে। এল সালভাদর সরকার তাদের কারাগারে বন্দী করতে রাজি হয়েছে।
এদিকে, এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘ট्रेन দে আরাগুয়া’-র সদস্যদের এল সালভাদরে আনা হয়েছে এবং তাদের সন্ত্রাস দমন কেন্দ্র ‘সেকোট’-এ এক বছরের জন্য বন্দী করে রাখা হবে।
জানা যায়, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এরিক প্রিন্স গত বছর থেকে এল সালভাদরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। মূলত, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা নথিবিহীন অভিবাসীদের গ্রহণ করার বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন