মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের বিতাড়িত করার বিষয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। বিতাড়ন প্রক্রিয়াটি বিতর্কিত ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর (Alien Enemies Act) আওতায় সংঘটিত হয়েছে, যা সাধারণত যুদ্ধের সময় ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
এই ঘটনাটি দেশটির বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত বিতর্কিত ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’-এর প্রয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে, যার ফলে ভেনেজুয়েলার কিছু নাগরিককে এল সালভাদরে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু হোয়াইট হাউজ এই নির্দেশ অমান্য করে বিতাড়ন অব্যাহত রাখে। বিতাড়িতদের মধ্যে ‘ট্রেন দে আরাগুয়া’ নামক একটি গ্যাং-এর সাথে জড়িত সন্দেহে ২৫০ জন ছিল বলে জানা গেছে।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে আদালতের নির্দেশ জারির আগেই বিতাড়নের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। তবে, আদালতের নির্দেশ এবং বিতাড়ন প্রক্রিয়ার সময় নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে।
এই বিতর্কের মধ্যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা প্রয়োগের তীব্র সমালোচনা করা হচ্ছে। বিরোধীরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিচার বিভাগের প্রতি অবজ্ঞা এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গ্রিন কার্ডধারী মাহমুদ খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যিনি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে বিক্ষোভ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, খলিলের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির পরিপন্থী ছিল।
তবে, সমালোচকদের মতে, এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত। এই ঘটনার পাশাপাশি, সরকার ‘ভয়েস অফ আমেরিকা’ বন্ধ করে দেওয়ায় আবারও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অনুমোদনকে উপেক্ষা করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, ট্রাম্প দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নীতি অনুসরণ করেন, যা তার ক্ষমতাকে আরও সুসংহত করতে সহায়ক হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিতাড়ন প্রক্রিয়া এবং মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তার উভয় ক্ষেত্রেই মৌলিক প্রশ্ন উঠেছে— প্রেসিডেন্ট কি তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করছেন? এই ধরনের পদক্ষেপগুলি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান এবং আইনের শাসনের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন