1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
August 13, 2025 11:43 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
দীর্ঘ ২৭ বছর পরে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি কামাল, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল পাথরকান্ডে সংশ্লিষ্টরা কেউ দায় এড়াতে পারেন না-আহমেদ আবু জাফর পরিবেশ রক্ষায় ‘সাদা পাথর’-এর গুরুত্ব ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, সভাপতি ও অফিস সহকারির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কাউখালীতে দুর্যোগ আগাম কার্যক্রম বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত কাউখালীতে শিক্ষার্থীদের নিজ গ্রাম সম্পর্কে জানি, শীর্ষক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত আলাস্কা থেকে সত্যিই রাশিয়া দেখা যায়! ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে চাঞ্চল্যকর তথ্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার আসল কারণ কি মানসিক স্বাস্থ্য? চাঞ্চল্যকর তথ্য! ট্রাম্পের ক্ষমতা, রাশিয়ার হুমকি এবং কোভিড-১৯ মাদারীপুরে ৪০০ শিক্ষার্থীদের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবর্ধনা

অর্থনীতি: সুসংবাদেও কি খারাপ সময়? ট্রাম্পের নীতিতে অস্থির বাজার!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, March 17, 2025,

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির কিছু সূচক মিশ্র ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, দেশটির অর্থনীতির কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগের কারণও রয়েছে।

এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য, যাদের অর্থনীতি বিশ্ব বাজারের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।

উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধকী ঋণের সুদের হার কমেছে এবং পেট্রোলের দামও স্থিতিশীল রয়েছে। সাধারণত, সুদের হার কমাটা ইতিবাচক হিসেবে দেখা হয়, যা মানুষের ঋণ নেওয়ার আগ্রহ বাড়ায় এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সহায়তা করে।

বর্তমানে, সেখানে গ্যাসোলিনের দাম প্রতি গ্যালন প্রায় ৩ ডলারের কাছাকাছি রয়েছে। এছাড়া, সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে, যদিও ফেডারেল রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখনো বেশি।

তবে, এই ইতিবাচক চিত্রগুলোর গভীরে গেলে কিছু দুর্বলতাও চোখে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুদের হার কমার কারণ হলো বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বাজার নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, যার ফলে তারা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন।

এছাড়া, বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। যদিও মূল্যস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ফেডারেল রিজার্ভের ২ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো এখনো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার এখনো শক্তিশালী দেখা গেলেও, সরকারি খাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, কারণ সরকারি ব্যয়ের ওপর এই খাতগুলো অনেকখানি নির্ভরশীল।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতি, বিশেষ করে শুল্কের হার, ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছেন, যা অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই মিশ্র পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, বিশ্ব অর্থনীতির একটি বড় অংশ হলো যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির অর্থনৈতিক পরিবর্তন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা কমলে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একইভাবে, জ্বালানি তেলের দামের পরিবর্তন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে, যেহেতু আমাদের আমদানি ব্যয়ের একটি বড় অংশ আসে জ্বালানি থেকে।

অতএব, বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। বিশ্ব অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের দিকে নজর রেখে, দেশের বাণিজ্য নীতি এবং অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT