1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 20, 2025 3:34 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
আতঙ্কে উদ্বাস্তু! স্বাস্থ্যখাতে বড় ধাক্কা, অভিবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত! মৃত্যুর পরেও, বাজারে থাকছে জিন থেরাপি! – প্রস্তুতকারকের ঘোষণা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট: বেদুঈনদের প্রতি যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান! গাজায় খাদ্য নিতে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩২ ফিলিস্তিনি! কঙ্গো: বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি আলোচনা, কী হতে চলেছে? বিমানবন্দরে নতুন বোমা স্ক্যানার: এখনো কেন সব জায়গায় নেই? লস অ্যাঞ্জেলেসে বিস্ফোরণ: বিস্ফোরক ইউনিটের ভয়ংকর প্রশিক্ষণ! ট্রাম্পের চমক! স্থিতিশীল কয়েন নিয়ে নতুন আইন, উচ্ছ্বসিত ক্রিপ্টো জগৎ কাপ্তাই বাংলা কলোনি মসজিদের মুয়াজ্জিন ইন্তেকাল, শোকের ছায়া  নৌবাহিনী স্কুল এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা 

প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়: এক শতাব্দীর ক্ষত, আজও ভাসে স্বজন হারানোর বেদনা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, March 17, 2025,

একশো বছর আগের এক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়, যা আমেরিকার ইতিহাসে ‘ট্রাই-স্টেট টর্নেডো’ নামে পরিচিত ছিল, সেটি আজও মানুষের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। ১৯২৫ সালের ১৮ই মার্চ তারিখে এই ঘূর্ণিঝড়টি আমেরিকার মিসৌরি, ইলিনয় এবং ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানে।

এটির ভয়াবহতা এতটাই বেশি ছিল যে, প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ৩৫০ কিলোমিটার পথজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ে ৬৯৫ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং আহত হয়েছিল দুই হাজারের বেশি মানুষ।

আধুনিক পরিমাপ অনুযায়ী, এই টর্নেডোর বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ২৬০ মাইলের বেশি, যা এটিকে একটি F5 ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত করে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মিসৌরির আনাপোলিস, ইলিনয়ের গোরহাম ও মারফিসবোরো, এবং ইন্ডিয়ানার গ্রিফিথ শহরগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

মারফিসবোরোতে, ১১ বছর বয়সী ওথেল্লা সিলভি তার বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক ব্লক দূরে থাকা সত্ত্বেও, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছুই দেখতে পায়নি। এমনকি লোগান স্কুলের মাঠের একটি গাঢ় সবুজ মেপল গাছের গুঁড়িতে একটি কাঠের তক্তা এমনভাবে ঢুকে গিয়েছিল যে, সেটি একজন মানুষের ওজনও বহন করতে পারতো।

সে সময়ে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়ার মতো কোনো নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা ছিল না। ফলে, মানুষজন কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছিল। খবর পাওয়া মাত্রই রেড ক্রস ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসে এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মারফিসবোরো শহর। এখানকার একটি স্কুলের ৩৮ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছিল। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে নিহতদের স্মরণে স্থানীয়ভাবে লেখা হয়েছিল একটি শোকগাঁথা, যা সেই সময়ের মানুষের শোক ও কষ্টের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছিল।

দুর্ঘটনার পর শহরটি ধীরে ধীরে আবার ঘুরে দাঁড়ায়। ওথেল্লা সিলভি ও তার পরিবারের সদস্যরাও তাদের বাড়ি পুনর্গঠন করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প আজও মানুষকে সাহস জোগায়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ট্র্যাজেডি বাংলাদেশের জন্য একটি শিক্ষণীয় বিষয় হতে পারে। যদিও বাংলাদেশে এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় তুলনামূলকভাবে কম হয়, তবুও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT