গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে সামরিক অভিযান, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে সামরিক অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হামাস এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ায় এই সংঘাতের সূচনা হয়েছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রমজান মাসের পবিত্র সময়ে এই অপ্রত্যাশিত হামলা উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বিশ্বজুড়ে মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ‘গণহত্যামূলক যুদ্ধ’ পুনরায় শুরুর প্রতিবাদে সোচ্চার হতে। তারা ইসরায়েলকে এই চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছে।
হামাস আরও বলেছে, “নেতানিয়াহু এবং তার নাৎসি সরকার গাজা উপত্যকার নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসন ও গণহত্যা পুনরায় শুরু করেছে।”
ফিলিস্তিনের ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) জানিয়েছে, ইসরায়েল ‘যুদ্ধবিরতি অর্জনের সমস্ত প্রচেষ্টা ইচ্ছাকৃতভাবে বানচাল’ করার মাধ্যমে গাজায় ‘গণহত্যার যুদ্ধ’ অব্যাহত রেখেছে। পিআইজে’র মতে, নেতানিয়াহু এবং তার ‘রক্ত পিপাসু নাৎসি সরকার’-এর এই হামলা ইসরায়েলকে ‘যুদ্ধক্ষেত্রে বা আলোচনার টেবিলে প্রতিরোধ শক্তির ওপর শ্রেষ্ঠত্ব’ এনে দেবে না।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় তাদের সর্বশেষ সামরিক অভিযান অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে এবং এর পরিধি আরও বাড়তে পারে।
তারা দাবি করেছে, হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে বারবার অস্বীকৃতি জানাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া প্রস্তাবগুলোও প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, “ইসরায়েল এখন থেকে হামাসের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে।”
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এই হামলা আন্তর্জাতিক এবং মানবিক কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহত ও নিখোঁজদের বেশিরভাগই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধ, যারা মানবতার বিরুদ্ধে পরিচালিত গণহত্যার শিকার।
এই ঘটনায়, উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা