ডমিনিকান রিপাবলিকে ছুটি কাটাতে যাওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন তরুণীর রহস্যজনক অন্তর্ধানের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিখোঁজ ছাত্রীর সঙ্গে শেষবার দেখা যাওয়া এক যুবক, যিনি নিজেও বর্তমানে সেখানকার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন, তাঁর অধিকার খর্ব করা হচ্ছে দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ২০ বছর বয়সী সুদীক্ষা কোনানকি গত ৩রা মার্চ পুন্টা কানায় আসেন বন্ধুদের সঙ্গে। এর কয়েকদিন পরেই তিনি নিখোঁজ হন। এই ঘটনার পর থেকেই সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন জশুয়া স্টিভেন রিবে নামের এক যুবক। বা জানা গেছে, ২২ বছর বয়সী জশুয়া সেন্ট ক্লাউড স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।
খবর অনুযায়ী, জশুয়ার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে এবং তাঁকে পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যদিও সুদীক্ষার অন্তর্ধানের ঘটনায় তিনি কোনো অভিযুক্ত নন। জশুয়ার পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আইনজীবীর পরামর্শ ছাড়াই তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ভার্জিনিয়ার লাউডন কাউন্টির শেরিফ মাইকেল চ্যাপম্যান জানিয়েছেন, জশুয়া তদন্তের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন।
আদালতের নথি থেকে জানা যায়, জশুয়া তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে একটি আবেদন করেছেন। তিনি তাঁর স্বাধীনতা চেয়েছেন এবং তাঁর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার আবেদন করেছেন। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রাতে একটি বারে সুদীক্ষা এবং জশুয়াকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। এরপর সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার পরে সুদীক্ষার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। জশুয়ার দাবি, সমুদ্রে সাঁতার কাটার সময় সুদীক্ষাকে তিনি কয়েকবার সাহায্য করেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত তিনি যখন হাঁটু জলের কাছাকাছি ছিলেন, তখন তিনি তাঁকে সুস্থ আছেন কিনা জিজ্ঞেস করেছিলেন। কিন্তু এরপর তিনি আর সুদীক্ষাকে দেখেননি।
সুদীক্ষার একটি পোশাক সৈকতে পাওয়া গেছে, তবে তাঁর কোনো সন্ধান মেলেনি। এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন