1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 18, 2025 10:13 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
টেনিসের অন্দরে ‘সিন্ডিকেট’, ফেটে পড়লেন শীর্ষ খেলোয়াড়রা! ফ্যালকন্সের ভবিষ্যৎ সংকটে! কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে? লুটনে মা ও দুই ভাইকে খুন, স্কুলে ৩০ শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা! যুদ্ধ রুখতে জার্মানির বিশাল পদক্ষেপ! ৫00 বিলিয়ন ইউরোর ঘোষণা এআই-এর দৌরাত্ম্যে বাড়ছে অপরাধ, শঙ্কায় ইউরোপ! লুসি লেটবি: শিশুদের হত্যাকারী নার্সকে বাঁচাতে প্রাক্তন কর্মকর্তাদের ‘ধান্দাবাজি’! তরুণ বয়সের ‘ইনসেল’ সংস্কৃতি: ভয়ঙ্কর আকর্ষণ! বিচারককে অভিশংসনের ডাক ট্রাম্পের! তোলপাড় অভিবাসন ইস্যুতে চুল সোজা করার সেরা হেয়ার স্ট্রেইটনার, যা আপনার লুক বদলে দেবে! কান্না থামিয়ে দেখুন! ওতানির ব্যাটিং তাণ্ডবে টোকিও কাঁপছে, ডজর্সের জয়!

যুক্তরাজ্যের সেরা ৭টি তীর্থযাত্রা: আত্মার শান্তির অন্বেষণে!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, March 18, 2025,

যুক্তরাজ্যে তীর্থযাত্রা: আধুনিক যুগে আধ্যাত্মিকতার নতুন দিগন্ত।

বহু যুগ ধরে, তীর্থযাত্রা একটি পবিত্র স্থানে ধর্মীয় বিশ্বাসের নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে, এই ধারণাটি যেন নতুন রূপ নিয়েছে।

আধুনিক যুগে, বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ তীর্থযাত্রাকে একটি উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার অংশ হিসেবে দেখছেন, যা সবসময় ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িত নাও থাকতে পারে।

যুক্তরাজ্যে ধর্মীয় জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক আদমশুমারি অনুসারে, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা কমেছে।

কিন্তু একই সময়ে, এই দেশটিতে তীর্থযাত্রা পথগুলি নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এখানকার গ্রামীণ এলাকাগুলোতে যেমন চার্চগুলোর আশেপাশে পায়ে হেঁটে ঘোরাঘুরি করা যায়, তেমনি আইরিশ সাগর পাড়ি দিয়েও তীর্থযাত্রার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মধ্যযুগের পর থেকে যুক্তরাজ্যে তীর্থযাত্রার এত জনপ্রিয়তা আর দেখা যায়নি। এর কারণ সম্ভবত বর্তমানের জটিল জীবন থেকে মুক্তি খোঁজা।

যখন একজন মানুষ একটানা হেঁটে চলে, তখন তার চিন্তা শুধু খাবার, আশ্রয় এবং পথের দিকেই থাকে। এটি এক ধরনের সুস্থ জীবন যাপনের পদ্ধতি, যা দ্রুতগতির একবিংশ শতাব্দীর জীবনের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

আসুন, যুক্তরাজ্যের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তীর্থযাত্রা পথের বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক:

১. গোল্ডেন ভ্যালি পিলগ্রিম ওয়ে (Herefordshire):

এই পথটি প্রায় ৬০ মাইল দীর্ঘ, তবে এটি কোনো সরলরেখা অনুসরণ করে না। বরং, এটি একটি চক্রাকার পথ, যা দক্ষিণ-পশ্চিম হেরিফোর্ডশায়ারের গ্রামীন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে গেছে।

এই পথের যাত্রা শুরু হয় হেরিফোর্ডের একাদশ শতাব্দীর ক্যাথেড্রালের সামনে, এবং শেষও হয় সেখানেই। এই পথটি আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এখানে রাতে থাকার জন্য ৯টি চার্চে আশ্রয় নেওয়া যায়, যেখানে থাকার খরচ প্রায় ২,৬০০ টাকার মতো (২০ পাউন্ড)। এখানে ক্যাম্পিং বেড, বাথরুম এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। এই পথটি ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে তীর্থযাত্রীদের আকর্ষণ করে আসছে।

২. সেন্ট কাথবার্ট’স ওয়ে (স্কটিশ বর্ডার ও নর্দাম্বারল্যান্ড):

সপ্তম শতাব্দীর সাধু সেন্ট কাথবার্টের স্মৃতি বিজড়িত এই ৬২ মাইলের পথটি স্কটিশ সীমান্তের মেলরোজ শহর থেকে শুরু হয়ে পবিত্র দ্বীপ হলি আইল্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়েছে।

এই পথটি আধুনিক ব্রিটিশ তীর্থযাত্রার পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ সালে এটি চালু হওয়ার পর থেকে তীর্থযাত্রী এবং ভ্রমণকারীদের কাছে এটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

এখানকার মনোরম দৃশ্য, যেমন এইলডন হিলস, টুইড নদী, ধ্বংসপ্রাপ্ত অ্যাবে, এবং সেন্ট কাথবার্টের গুহা, যা এই পথের আকর্ষণ বৃদ্ধি করে। হলি আইল্যান্ডে যাওয়ার সময় হয়তো সমুদ্রের কাদা মাড়িয়ে খালি পায়ে হাঁটতে হয়, যা এই যাত্রাপথকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

৩. সেন্ট প্যাট্রিক’স ওয়ে (আর্মাহ ও ডাউন কাউন্টি):

আয়ারল্যান্ডের ধর্মগুরু সেন্ট প্যাট্রিকের সম্মানে উৎসর্গীকৃত এই তীর্থযাত্রা পথটি ২০১৫ সালে চালু করা হয়।

৮২ মাইল দীর্ঘ এই পথটি আয়ারল্যান্ডে খ্রিস্টধর্মের বিস্তারে সেন্ট প্যাট্রিকের অবদানকে স্মরণ করে। এই পথের মূল আকর্ষণ হলো নাভান ফোর্ট এবং ডাউনপ্যাট্রিক শহর।

এই পথ ধরে সবুজ আর মনোরম দৃশ্যের সাক্ষী হওয়া যায়।

৪. কর্নিশ সেল্টিক ওয়ে (কর্নিশ):

ষষ্ঠ শতকে যখন সাধু-সন্ন্যাসীরা ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে খ্রিস্টধর্মের প্রচার করতে এসেছিলেন, সেই সময়কার স্মৃতি বিজড়িত এই পথটি আধুনিক তীর্থযাত্রার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

১২৫ মাইল দীর্ঘ এই পথটি সেন্ট জার্মেন্স থেকে সেন্ট মাইকেল’স মাউন্ট পর্যন্ত বিস্তৃত। এই পথে প্রাচীন সেল্টিক ক্রস, পবিত্র কুয়ো, এবং বন্যভূমি দেখা যায়।

৫. ওয়েক্সফোর্ড-পেমব্রোকশায়ার ট্রেইল (আয়ারল্যান্ড ও ওয়েলস):

এই ১৬২ মাইল দীর্ঘ পথটি দুটি সেল্টিক অঞ্চলের সংস্কৃতিকে একত্রিত করেছে।

এটি সেন্ট এইডানের ষষ্ঠ শতাব্দীর যাত্রা পুনরুদ্ধার করে, যিনি সেন্ট ডেভিডের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন। এই পথের শুরু হয় আয়ারল্যান্ডের ফার্নস-এর পবিত্র কুয়ো থেকে, এবং শেষ হয় ওয়েলসের সেন্ট ডেভিডসে।

৬. ওল্ড ওয়ে (দক্ষিণ ইংল্যান্ড):

২৪০ মাইল দীর্ঘ এই তীর্থযাত্রা পথটি সাউথহ্যাম্পটন থেকে ক্যান্টারবুরি পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ১৪ শতকের একটি মানচিত্র থেকে অনুপ্রাণিত।

ব্রিটিশ পিলগ্রিমেজ ট্রাস্ট এই পথটিকে নতুন করে তৈরি করেছে।

এই পথে টিচফিল্ড অ্যাবে, চিচেস্টার ক্যাথেড্রাল, এবং সাউথ ডাউন্সের মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখা যায়।

৭. নর্দার্ন সেন্টস ট্রেইলস (ডারহাম):

২০২১ সালে চালু হওয়া এই পথগুলো উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডে মধ্যযুগে খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এমন সাধুদের স্মৃতি বহন করে।

উদাহরণস্বরূপ, ২৯ মাইল দীর্ঘ ‘ওয়ে অফ লাইফ’ পথটি সেন্ট কাথবার্টের জীবন ও কর্মের সঙ্গে জড়িত। এই পথে সেন্ট ওসওয়াল্ড’স চার্চ এবং এসকম্বের মতো ঐতিহাসিক স্থানগুলো বিদ্যমান।

যুক্তরাজ্যের এই তীর্থযাত্রা পথগুলো ইতিহাস, প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতার এক চমৎকার মিশ্রণ।

আধুনিক জীবনের কোলাহল থেকে দূরে, প্রকৃতির কাছাকাছি কিছু সময় কাটানোর জন্য এই পথগুলো বিশেষভাবে উপযোগী।

যারা একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা এবং মানসিক শান্তির অন্বেষণ করেন, তাদের জন্য এই তীর্থযাত্রাগুলো নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

তথ্য সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT