1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 19, 2025 1:48 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন বন্দরের দূষণ: ভবিষ্যৎ অন্ধকারে? যুদ্ধ শেষের পথে? ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের চাওয়া কি পূরণ হবে? জাপানি স্বাদের অভিজ্ঞতা: কাইশুর রন্ধনশালায় ঋতু পরিবর্তনের স্বাদ! সাউথওয়েস্টের দুঃখে ফ্রন্টিয়ারের সুবর্ণ সুযোগ! বিনামূল্যে ব্যাগ আর সিট! মাঠে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়ের ওপর ফ্রান্সের খেলোয়াড়ের এমন কাণ্ড! court ট্র্যাসি মরগানের বমি: খেলা বন্ধ, ভক্তদের মাঝে চাঞ্চল্য! এআই: মানুষের মতো বুদ্ধি! এনভিডিয়ার নতুন চমক, বাড়বে এআই-এর ক্ষমতা! গাজায় ফেরা অনিশ্চিত! ইসরায়েলের হামলায় জিম্মিদের পরিবারে কান্না গাজায় ইসরায়েলের বোমা: ফের ‘নরকে’ ফিলিস্তিনিরা, শিশুদের আর্তনাদে আকাশ ভারী! ক্রিমিয়া: যুদ্ধের ময়দান নাকি খেলার মাঠ? রাশিয়া-ইউক্রেনের আকর্ষণের কারণ!

আদালতের নির্দেশে ট্রাম্পের ২৫ হাজার বরখাস্ত কর্মী ফিরছেন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, March 18, 2025,

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ফেডারেল সরকারের প্রায় ২৫ হাজার কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। সম্প্রতি একটি আদালতের রায়ে এই বরখাস্ত প্রক্রিয়াকে সম্ভবত অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং তাদের পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

খবর অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন আদালতের এই নির্দেশ মেনে চলতে শুরু করেছে এবং বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যদিও তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে।

আদালতের নথিতে জানানো হয়েছে, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় যে, অন্তত ১৮টি সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের সাময়িকভাবে প্রশাসনিক ছুটিতে রাখার ব্যবস্থা করছেন।

এই ব্যাপক সংখ্যক কর্মী ছাঁটাই ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (Doge) নামে পরিচিত একটি প্রকল্পের অংশ ছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী ইলন মাস্ক। যদিও কর্মী ছাঁটাইয়ের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছিল।

মার্কিন বিচারক জেমস ব্রাদার ১৩ই মার্চ এক রায়ে জানান, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া এই কর্মী ছাঁটাই ফেডারেল কর্মচারীদের গণছাঁটাই সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।

তিনি কর্মীদের পুনর্বহালের নির্দেশ দেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়। সাধারণত, প্রবেশন পিরিয়ডে থাকা কর্মীদের চাকরির এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই বরখাস্ত করা হয়, যদিও এদের মধ্যে অনেকে দীর্ঘকাল ধরে সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছেন।

ব্রাদারের এই রায় আসে ১৯টি ডেমোক্রেট-শাসিত রাজ্য এবং ওয়াশিংটন ডিসির করা একটি মামলার প্রেক্ষিতে। রাজ্যগুলোর অভিযোগ ছিল, এই ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই বেকারত্বের হার বৃদ্ধি করবে এবং এর ফলে রাজ্যের সামাজিক পরিষেবাগুলোর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে।

মেরিল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যান্টনি ব্রাউন এই মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন ব্রাদারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে এবং আদালতকে রায় স্থগিত করার জন্য অনুরোধ করেছে।

সান ফ্রান্সিসকোর একটি আদালতও এর আগে ৬টি সরকারি সংস্থায় বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে ব্রাদারের আদেশের অন্তর্ভুক্ত পাঁচটি সংস্থাও ছিল। প্রশাসন সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আপিল করেছে।

সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হয় তারা বরখাস্ত হওয়া সকল কর্মীকে পুনর্বহাল করেছেন, অথবা সেই প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

তবে, বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ফিরিয়ে আনার ফলে সরকারি কাজকর্ম পরিচালনায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, আপিল আদালত যদি ব্রাদারের রায় পরিবর্তন করে, তাহলে সংস্থাগুলো আবার কর্মীদের বরখাস্ত করতে পারবে, যা তাদের কর্মজীবনের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মার্ক গ্রিন এক নথিতে লিখেছেন, “এই ধরনের অনিশ্চয়তা এবং প্রশাসনিক জটিলতা কর্মকর্তাদের কাজ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করছে।

আদালতের শুনানির সময়সূচির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কর্মীদের কাজের সময় ও দায়িত্ব নির্ধারণ করতে হচ্ছে।” ব্রাদার ২৬শে মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন, যেখানে তার রায় বহাল থাকবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এই মামলার নিষ্পত্তি হতে কয়েক মাস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT