যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (Food and Drug Administration – FDA)-এর কর্মীরা অফিসে ফিরতেই চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মী ছাঁটাই কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মকর্তাদের অফিসে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে করে অফিসের স্থান সংকট, আসবাবপত্রের অভাব এবং খাবার পানির সমস্যাসহ নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মীরা।
সোমবার (উল্লেখযোগ্য তারিখে) থেকে এফডিএ-এর প্রধান কার্যালয়ে সব কর্মীর জন্য অফিসে আসা বাধ্যতামূলক করা হয়। মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের হোয়াইট ওক-এ অবস্থিত এই প্রধান কার্যালয়টি প্রায় ১৩০ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। জানা গেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় এফডিএ-এর অনেক কর্মী বাসা থেকে কাজ করতেন। এমনকি মহামারীর আগেও কর্মীদের সপ্তাহে অন্তত দুই দিন বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ ছিল।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অফিসে ফেরার প্রথম দিনেই পার্কিংয়ের জায়গা নিয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা চৌকি পার হতেও দীর্ঘ লাইন ছিল। অফিসের ভেতরে স্থান সংকুলান নিয়ে কর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অনেক কর্মীর বসার জন্য চেয়ার ছিল না, এমনকি অনেকের অফিসের চাবিও পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, অফিসে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাবে তারা বিভিন্ন কনফারেন্স রুম থেকে চেয়ার ও অন্যান্য জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে বাধ্য হয়েছেন। অফিসের স্থান সংকুলানের কারণে একই স্থানে বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের একসঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে, ফলে মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে সমস্যা হচ্ছে।
কর্মীরা আরও জানান, অফিসের খাবার পানিতে ‘লিজোনেলা’ নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই ব্যাকটেরিয়া ‘লিজোনেয়ার্স’ রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। গত কয়েক মাস ধরে এই সমস্যা চললেও কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কর্মীরা জানান, পানি নিরাপদ কিনা তা নিয়ে তারা সন্দিহান।
এফডিএ-এর স্থানীয় ফেডারেল ইউনিয়নের প্রতিনিধি অ্যান্টনি লি জানান, কর্মীদের পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের জন্য অনুরোধ করা হলেও, এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।