1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 19, 2025 3:11 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন বন্দরের দূষণ: ভবিষ্যৎ অন্ধকারে? যুদ্ধ শেষের পথে? ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের চাওয়া কি পূরণ হবে? জাপানি স্বাদের অভিজ্ঞতা: কাইশুর রন্ধনশালায় ঋতু পরিবর্তনের স্বাদ! সাউথওয়েস্টের দুঃখে ফ্রন্টিয়ারের সুবর্ণ সুযোগ! বিনামূল্যে ব্যাগ আর সিট! মাঠে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! স্কটল্যান্ডের খেলোয়াড়ের ওপর ফ্রান্সের খেলোয়াড়ের এমন কাণ্ড! court ট্র্যাসি মরগানের বমি: খেলা বন্ধ, ভক্তদের মাঝে চাঞ্চল্য! এআই: মানুষের মতো বুদ্ধি! এনভিডিয়ার নতুন চমক, বাড়বে এআই-এর ক্ষমতা! গাজায় ফেরা অনিশ্চিত! ইসরায়েলের হামলায় জিম্মিদের পরিবারে কান্না গাজায় ইসরায়েলের বোমা: ফের ‘নরকে’ ফিলিস্তিনিরা, শিশুদের আর্তনাদে আকাশ ভারী! ক্রিমিয়া: যুদ্ধের ময়দান নাকি খেলার মাঠ? রাশিয়া-ইউক্রেনের আকর্ষণের কারণ!

বিচারকদের অভিশংসনের আহ্বান: ট্রাম্পকে কড়া জবাব রবার্টসের!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, March 19, 2025,

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন ফেডারেল বিচারককে অভিশংসিত করার আহ্বানের তীব্র সমালোচনা করেছেন। মঙ্গলবার এক বিরল বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতি রবার্টস বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ট্রাম্প সম্প্রতি ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল আদালতের বিচারক জেমস ই. বোয়াসবার্গকে অভিযুক্ত করে তাকে অভিশংসনের দাবি জানান। বোয়াসবার্গ ট্রাম্প প্রশাসনকে ১৭৯৮ সালের এলিয়েন এনemies অ্যাক্ট-এর অধীনে করা কিছু নির্বাসন স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আইনের অধীনে, যুদ্ধকালীন সময়ে প্রেসিডেন্টরা ‘শত্রুভাবাপন্ন দেশ’ থেকে আসা বিদেশি নাগরিকদের আটক ও তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারেন।

বোয়াসবার্গের এই সিদ্ধান্তের পরেই ট্রাম্প তাকে আক্রমণ করেন এবং অভিশংসনের দাবি জানান। প্রধান বিচারপতি রবার্টস এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলেন, “আদালতের সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলে, তাকে অভিশংসন করা উপযুক্ত পদক্ষেপ নয়।

এই উদ্দেশ্যে আপিল প্রক্রিয়া বিদ্যমান।” রবার্টসের এই মন্তব্যটি ছিল ট্রাম্পের সামাজিক মাধ্যমে করা একটি পোস্টের প্রতিক্রিয়া। ট্রাম্প তার পোস্টে বিচারক বোয়াসবার্গকে ‘বামপন্থী উন্মাদ’ আখ্যা দেন এবং অভিযোগ করেন যে, তিনি বারাক ওবামার দ্বারা নিযুক্ত হয়েছেন।

ট্রাম্প আরও বলেন, “এই বিচারক জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি।” ঐতিহাসিক ভাবে, এলিয়েন এনemies অ্যাক্ট খুবই কম ব্যবহার করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি আমেরিকান এবং অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের আটকের ঘটনা এর অন্যতম উদাহরণ। বিচারক বোয়াসবার্গের নির্দেশের পরেও ট্রাম্প প্রশাসন এই আইনের অধীনে কিছু মানুষকে দেশ থেকে বিতাড়িত করে, যা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিচার বিভাগের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। অতীতেও ট্রাম্প বিভিন্ন বিচারক ও আইনজীবীর বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ এনেছেন। এমনকি, তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের শুনানির সময়ও বিচারক ও প্রসিকিউটরদের অভিশংসনের দাবি তুলেছিলেন।

ট্রাম্পের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের আইনপ্রণেতারা। রিপাবলিকান সিনেটর চাক গ্রাসলি এক টুইটে বলেন, “আরেক দিন, আরেকজন বিচারক একতরফাভাবে পুরো দেশের জন্য নীতি নির্ধারণ করছেন।

প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ব্র্যান্ডন গিলও বোয়াসবার্গের অভিশংসন চেয়েছেন। শুধু রাজনীতিবিদরাই নন, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ইলন মাস্কও বিচারকদের অভিশংসনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি রবার্টস বরাবরই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার বিষয়ে সোচ্চার ছিলেন। গত বছরও তিনি আইনপ্রণেতাদের রাজনৈতিক কারণে বিচারকদের অভিশংসনের চেষ্টার নিন্দা করেছিলেন। আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশনও এই প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

তারা বলেছে, “দুর্নীতিগ্রস্ত বিচারকদের অভিশংসনের আহ্বান জানানো হচ্ছে, কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হচ্ছে না।” এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্রধান বিচারপতি রবার্টসের এই পদক্ষেপ সেই স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন এবং বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষার একটি সুস্পষ্ট বার্তা। তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT