লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ(স্টাফ রিপোর্টার)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মঙ্গলবার বিভিন্ন অভিযোগে ২২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আাদলত। এছাড়া একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় কসবা উপজেলার আকছিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে মোঃ সজিব (২২) নামে এক জাল ভোটারকে সাতদিনের কারাদন্ড ও এক প্রার্থীর এজেন্ট মোঃ আমজাদ (৪০)কে পাঁচদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কুটি ইউনিয়নের কুটি অটল বিহারী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ায় পারভেজ মিয়া (২২) নামে একজনকে পাঁচদিনের, বিনাউটি ইউনিয়নের জামিয়া ছানি ইউনুছিয়া মাদরাসা ভোট কেন্দ্রের গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে সিল দেওয়া ব্যালটের ছবি তোলায় সাইফুল ইসলাম, মোঃ শাকিল, মোঃ. রহমতুল্লাহ ও মোঃ রাসেল নামের চারজনকে তিনদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড, বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুইজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দুপুরে কসবা উপজেলার মেহারি ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করায় একজনকে তিনদিন ও অপর একজনকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নাবালক প্রমাণিত হওয়ায় অপর একজনকে মুচলেকার মাধ্যমে বাবার জিম্মায় প্রদান করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের হাতুরাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ায় মোঃ আমানুল্লাহ, মোঃ আলম, মোঃ নূরে আলম, মোঃ বাতেন মিয়া, আবু নাইম, জাবেদ মিয়া, ওবায়দুল হক, নূর আলম ও মোঃ পারভেজন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়।
দুপুর ১:৩০মিঃ দিকে আখাউড়ায় শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ (পুরাতন ভবন) পুরুষ ভোট কেন্দ্রের দুই নম্বর ভোট কক্ষের গোপন কক্ষে ঢুকে অন্য ভোটারের ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে মাইক প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগের পোলিং এজেন্ট মাহবুব মিয়াকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ।