1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 19, 2025 5:18 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
ট্রাম্প-পুতিনের যুদ্ধবিরতি: ইউরোপের নেতারা হতাশ! ঘ্রাণশক্তিহীন হয়েও মাঠ কাঁপানো দুই ক্রিকেটার: কিভাবে সম্ভব? আলোচিত: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী নারী এখন বন্দী! ৭.৪ বিলিয়ন ডলারের ওপিওড মামলার নিষ্পত্তিতে পারডু ফার্মার নতুন পরিকল্পনা! যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প-পুতিনের! এছাড়াও আর কী? আটলান্টা ড্রাইভের উড়ন্ত সূচনা! টিজিএল ফাইনালে কাদের সাথে? শতবর্ষ পরে: খুন হওয়া আদিবাসীর কঙ্কাল ফিরল, ভয়ঙ্কর স্মৃতি! জাপানে ওহতারির ঝলক: ডজার্সের দাপটে চাপা পড়ল কিউবসের ঐতিহ্য! যুদ্ধ কি তবে আরো ভয়াবহ রূপ নিতে যাচ্ছে? কিয়েভের উপর রাশিয়ার আক্রমণ! ওয়াও! বিচ-এ আরামের নতুন সংজ্ঞা, ২ জনের বসার আসন ওয়াগন! এখনই দেখুন

কোমর ব্যথায় ১০%-এর বেশি চিকিৎসায় মুক্তি নেই! গবেষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, March 19, 2025,

ব্যাক পেইন বা কোমর ব্যথার চিকিৎসায় প্রচলিত পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ব্যথার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রোপচার-বিহীন চিকিৎসাগুলোর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ রোগীর ব্যথা কমাতে কার্যকর।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোমর ব্যথার ব্যাপকতা এবং এর চিকিৎসার সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

যুক্তরাজ্যে প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে ৬ জনই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথায় ভোগেন। আমাদের দেশেও কোমর ব্যথা একটি পরিচিত সমস্যা।

দীর্ঘ সময় ধরে বসে কাজ করা, ভারী জিনিস তোলা, আঘাত পাওয়া এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যথা বাড়তে পারে। কোমর ব্যথার কারণে তীব্র যন্ত্রণা, নড়াচড়ার সমস্যা, কাজ করতে না পারা এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

কারো কারো ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ব্যথা সেরে যায়, আবার অনেকের কাছে এটি দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেয় এবং জীবনযাত্রাকে দুর্বিষহ করে তোলে।

কোমর ব্যথার চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে ব্যথানাশক ওষুধ, আকুপাঙ্কচার, ব্যায়াম, মালিশ, প্রদাহরোধী ওষুধ, লেজার ও আলো থেরাপি এবং স্পাইন বা মেরুদণ্ডের ম্যানিপুলেশন অন্যতম।

তবে, উদ্বেগের বিষয় হলো, এই চিকিৎসাগুলোর বেশিরভাগই তেমন কার্যকর নয়। অস্ট্রেলিয়ার নিউরোসায়েন্স রিসার্চ অস্ট্রেলিয়ার (Neuroscience Research Australia) ‘পেইন ইম্প্যাক্ট সেন্টার’-এর গবেষক ড. এইডান ক্যাশিনের নেতৃত্বে একটি দল ৫৬ ধরনের চিকিৎসার কার্যকারিতা পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।

গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ছিল ৩০১টি পূর্ব প্রকাশিত গবেষণা, যা বিশ্বের ৪৪টি দেশে পরিচালিত হয়েছিল। এই গবেষণাগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (anti-inflammatory) ওষুধ এবং মাংসপেশি শিথিল করার মতো বিভিন্ন চিকিৎসার প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়।

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, প্রচলিত চিকিৎসাগুলোর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ কোমর ব্যথায় সামান্য উপশম দিতে পারে। চিকিৎসাগুলোর কার্যকারিতা খুবই সীমিত।

এমনকি, যে ৬টি চিকিৎসা কিছুটা কাজ করে, সেগুলোও ব্যথার ওপর খুব সামান্য প্রভাব ফেলে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, স্বল্পমেয়াদী কোমর ব্যথায় নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস (NSAIDs) বা ব্যথানাশক ঔষধ বেশ কার্যকর। এছাড়া, দীর্ঘমেয়াদী কোমর ব্যথার জন্য ব্যায়াম, স্পাইনাল ম্যানিপুলেটিভ থেরাপি (spinal manipulative therapy), টেপিং, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ এবং টিআরপিভি১ (TRPV1) জাতীয় ওষুধ কিছু ক্ষেত্রে উপশম দিতে পারে।

কিন্তু কিছু প্রচলিত চিকিৎসা, যেমন – ব্যায়াম, প্যারাসিটামল এবং গ্লুকোকর্টিসোয়েড ইনজেকশন স্বল্পমেয়াদী কোমর ব্যথার জন্য কার্যকর নয়। এছাড়াও, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যানেস্থেটিকস দীর্ঘমেয়াদী কোমর ব্যথার চিকিৎসায় তেমন কোনো ফল দেয় না।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, অনেক প্রচলিত চিকিৎসার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যেমন – মালিশ, ব্যথানাশক ওষুধ সেবন এবং পায়ের অর্থোটিক্স (foot orthotics) ব্যবহার করলে ব্যথা কিছুটা কমতে পারে।

এছাড়া, হিট থেরাপি, আকুপাঙ্কচার, স্পাইনাল ম্যানিপুলেশন এবং ট্রান্সকিউটেনিয়াস ইলেকট্রিক্যাল নার্ভ স্টিমুলেশন (TENS) এর মাধ্যমে ব্যথার মাঝারি উপশম হতে পারে।

অন্যদিকে, কিছু চিকিৎসা, যেমন – এক্সট্রাকোরপোরিয়াল শকওয়েভ এবং কোলচিসিন (colchicine) জাতীয় প্রদাহরোধী ওষুধ ব্যবহারের ফলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, কোমর ব্যথার চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি (physiotherapy) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রোগীদের মূল্যায়ন করে তাদের জন্য উপযুক্ত ব্যায়াম নির্ধারণ করা হয়।

ব্রিটিশ কাইর practice, এই গবেষণার ফলাফলে স্পাইনাল ম্যানিপুলেশন ও টেপিংয়ের কার্যকারিতা প্রমাণিত হওয়ায় একে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলছেন, কোমর ব্যথায় আক্রান্ত অনেক রোগী তাদের কাছে আসছেন এবং এই চিকিৎসা তাদের দ্রুত কাজে ফিরতে সাহায্য করছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোমর ব্যথার কারণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন এবং শারীরিক কার্যকলাপের অভাবও কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে।

তাই, চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT