যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে তুষারঝড় ও দাবানলের আশঙ্কা, বিপর্যস্ত জনজীবন।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী এক storm system, যার ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তুষারঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলে বইছে তীব্র বাতাস, দেখা দিয়েছে দাবানলের ঝুঁকি।
আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এই পরিস্থিতি কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র (National Weather Service) জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি তৃতীয় শক্তিশালী ঝড়, যা দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আঘাত হানছে।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আবহাওয়ার এই রুদ্র রূপ দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৭ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ তীব্র বাতাসের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৭২ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।
ইতিমধ্যে, তুষারঝড়ের কারণে কানসাস থেকে উইসকনসিন পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে ৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তীব্র বাতাসের সাথে তুষারপাতের কারণে অনেক স্থানে দৃষ্টিসীমা শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
কানসাস অঙ্গরাজ্যের পরিবহন বিভাগ তুষারপাতের কারণে দেশটির I-70 মহাসড়কের প্রায় ৬৪২ কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যেও তুষারঝড়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সেখানকার জরুরি বিভাগ জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তুষারপাতের কারণে অনেক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে, ফলে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
এছাড়াও, পশ্চিম আইওয়াতেও কয়েক হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।
অন্যদিকে, ঝড়-বৃষ্টির এই পরিস্থিতিতে টেক্সাস, ওকলাহোমা, এবং মিসৌরির মতো রাজ্যগুলোতে দাবানলের ঝুঁকি বেড়েছে।
আবহাওয়াবিদ ব্রায়ান জ্যাকসন জানিয়েছেন, শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে গাছপালা শুকিয়ে যাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, গত কয়েকদিনে ওকলাহোমায় দাবানলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চার শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন।
আবহাওয়ার এই বিরূপ পরিস্থিতিতে ইলিনয় এবং ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, এই রাজ্যগুলোতে শিলাবৃষ্টি ও শক্তিশালী বাতাস বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এই storm system বৃহস্পতিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যার ফলে নিউ ইংল্যান্ডের পার্বত্য অঞ্চলে ভারী তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: মার্কিন সংবাদ সংস্থা।