1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
July 15, 2025 12:42 PM
সর্বশেষ সংবাদ:

ট্রাম্পের বিতর্কিত পদক্ষেপ: সরকারের ভিত দুর্বল করার নীলনকশা?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, March 20, 2025,

ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ, যা সহজে পরিবর্তন করা কঠিন হতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের কিছু সিদ্ধান্ত দেশটির সরকার কাঠামোতে এমন পরিবর্তন আনছে, যা পরিবর্তনে বেশ বেগ পেতে হতে পারে পরবর্তী ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্টের।

বিভিন্ন নীতিগত পরিবর্তনের পাশাপাশি, ট্রাম্প ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের প্রভাবকে দুর্বল করবে।

ট্রাম্প এবং তাঁর সরকার ফেডারেল কর্মী ছাঁটাই, সরকারি ভবন বিক্রি, বিভিন্ন ফেডারেল এজেন্সি বিলুপ্ত করা এবং অলাভজনক সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিল বাতিল করার মতো পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন নজিরবিহীন পদক্ষেপ আগে দেখা যায়নি।

এর ফলে ভবিষ্যতে ওয়াশিংটনের পক্ষে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনা কঠিন হবে।

উদাহরণস্বরূপ, ট্রাম্প প্রশাসন ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টকে (USAID) দুর্বল করে দিয়েছে।

সংস্থাটির কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে, চুক্তি বাতিল করা হয়েছে এবং এর স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে।

পরিবেশ সুরক্ষার ক্ষেত্রেও ট্রাম্পের নীতি পরিবর্তনের প্রভাব দেখা যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সম্পর্কিত কার্বন নিঃসরণ কমাতে ওবামার আমলে নেওয়া নিয়মগুলো দুর্বল করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেডারেল কর্মীদের ব্যাপক হারে ছাঁটাই এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহায়তার ক্ষেত্রে পরিবর্তনগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।

এই পরিবর্তনগুলো পুনরুদ্ধার করা কঠিন হবে।

এর ফলে সরকারের মৌলিক পরিষেবা প্রদানের জন্য বেসরকারি ঠিকাদারদের উপর নির্ভরতা বাড়তে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলো সম্ভবত “প্রশাসনিক রাষ্ট্র”-এর বিরুদ্ধে রক্ষণশীলদের দীর্ঘমেয়াদী বিজয় এনে দিতে পারে।

তাঁরা মনে করেন, এর ফলে ফেডারেল সরকারের আকার উল্লেখযোগ্যভাবে সংকুচিত হবে।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলছে।

উদাহরণস্বরূপ, স্বাস্থ্যখাতে জরুরি অবস্থার সময় প্রয়োজনীয় আইভি ব্যাগ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে, কারণ এই সংক্রান্ত একটি কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এছাড়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণা প্রকল্পগুলো বাতিল হওয়ায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই নীতি পরিবর্তনের ফলে দেশটির নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে কেউ কেউ মনে করেন, ট্রাম্পের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ জনসমর্থন নাও পেতে পারে।

অতীতে, ট্রাম্পের স্বাস্থ্যনীতি পরিবর্তনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল এবং এর ফলস্বরূপ “অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট”-এর জনপ্রিয়তা আরও বাড়ে।

তথ্যসূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT