টেসলা গাড়ির বীমা কি ভাঙচুরের কারণে আরও বাড়বে?
বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে উন্নত প্রযুক্তির কারণে অনেক দেশে গাড়ির বীমার খরচও বাড়ছে। বিশেষ করে, টেসলা গাড়ির বীমা সাধারণত অন্যান্য গাড়ির তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
এর প্রধান কারণ হল টেসলার উন্নত প্রযুক্তি এবং ব্যাটারির উচ্চ মেরামত খরচ। সম্প্রতি, টেসলা গাড়ির ভাঙচুরের ঘটনাও বেড়েছে, যা বীমার খরচ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে টেসলা গাড়ির বীমা বিভিন্ন মডেলের ওপর ভিত্তি করে বছরে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
উদাহরণস্বরূপ, একটি টেসলা মডেল ৩-এর বার্ষিক বীমা খরচ প্রায় ৩,৪৯৫ ডলার, মডেল ওয়াই-এর জন্য ৩,৭৭১ ডলার এবং মডেল এক্স-এর জন্য ৫,৪৫৯ ডলার। এই খরচ অন্যান্য সাধারণ গাড়ির তুলনায় বেশ বেশি।
উদাহরণস্বরূপ, একটি ফোর্ড এফ-১৫০ লাইটনিং-এর বার্ষিক বীমা খরচ প্রায় ২,৯৪২ ডলার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি টেসলা গাড়ির ভাঙচুরের ঘটনা বাড়তে থাকে, তাহলে বীমা কোম্পানিগুলো তাদের পলিসির খরচ বাড়াতে পারে অথবা নতুন করে বীমা পলিসি দেওয়া বন্ধ করে দিতে পারে। যদিও এখনই এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তবে ভবিষ্যতে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি চ্যালেঞ্জের কারণে হুন্দাই এবং কিয়া গাড়ির চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছিল। এর ফলস্বরূপ অনেক বীমা কোম্পানি এই মডেলের গাড়ির বীমা করতে রাজি হয়নি।
বাংলাদেশে গাড়ির বীমার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিষয় খরচ নির্ধারণ করে। গাড়ির মডেল, চালকের অভিজ্ঞতা এবং গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলো বীমার খরচকে প্রভাবিত করে।
যদিও টেসলার মতো উন্নত গাড়ির সংখ্যা বাংলাদেশে এখনো কম, তবে ভবিষ্যতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়লে, এই ধরনের গাড়ির বীমা এবং তার খরচ নিয়ে আলোচনা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
বর্তমানে, বাংলাদেশে গাড়ির ভাঙচুরের ঘটনা বীমার ওপর কতটা প্রভাব ফেলে, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে উন্নত দেশগুলোতে এমন ঘটনার নজির থেকে আমরা ভবিষ্যতের জন্য ধারণা পেতে পারি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন