যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তাদের আস্থা কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি মাসের পর থেকে বর্তমানে এই সূচক সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে।
কনফারেন্স বোর্ড নামের একটি সংস্থার জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসে ভোক্তা আস্থা ৭.২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯২.৯-এ। গত ডিসেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই এই পতনের শুরু।
ফেব্রুয়ারির মাসের তুলনায় মার্চ মাসের এই পতন একই রকম ছিল, যা মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান হতাশার চিত্র তুলে ধরে।
জরিপে আরও দেখা গেছে, আমেরিকানরা কেবল এ বছর উচ্চ মূল্যস্ফীতি আশা করছেন তাই নয়, তাদের মধ্যে অনেকেই ধারণা করছেন, দেশের অর্থনীতি মন্দার দিকে যেতে পারে।
দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি – এই দুটি বিষয় মিলে ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ তৈরি হতে পারে। ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তারাও মনে করেন, মার্কিন অর্থনীতি এখন সেই দিকেই যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তারা তাদের ব্যয়ের পরিমাণ কমিয়ে দেন, যা সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ভালো নয়।
এর কারণ হিসেবে তারা মূল্যস্ফীতি এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাকে দায়ী করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতির ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এর কিছু প্রভাব দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই আন্তর্জাতিক বাজার এবং বাণিজ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।
ভোক্তা আস্থার এই পতনের কারণ এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন