যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। একইসাথে, ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়া পরিবর্তনের লক্ষ্যে একটি নির্বাহী আদেশের বিষয়েও জানা গেছে।
**সিগন্যাল বিভ্রাট: দায় স্বীকার করলেন ট্রাম্পের উপদেষ্টা**
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ একটি ‘সিগন্যাল’ চ্যাট গ্রুপে সামরিক পরিকল্পনার তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এই ঘটনার জন্য তিনি সম্পূর্ণভাবে দায়ী।
ওয়াল্টজ স্বীকার করেন, এই ঘটনাটি “লজ্জাজনক” ছিল। জানা গেছে, এই চ্যাট গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাও যুক্ত ছিলেন।
এই গ্রুপে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইয়েমেনে সম্ভাব্য বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, যা অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য হিসেবে বিবেচিত।
এই ঘটনার জেরে ডেমোক্রেটিক সিনেটররা মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন। তারা মনে করেন, এই ‘অসাবধানতাবশত’ তথ্য ফাঁসের কারণে জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পেন্টাগন এর আগে তাদের কর্মীদের সিগন্যাল ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করেছিল।
**ভোটের নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনছেন ট্রাম্প**
ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে নতুন করে সাজানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। এই আদেশের ফলে সম্ভবত কয়েক মিলিয়ন ভোটারের ভোটাধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শ্বেত-ভবনের এক কর্মকর্তার মতে, এটি দেশের ইতিহাসে “সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী নির্বাহী পদক্ষেপ”।
অন্যান্য খবরে জানা যায়, কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটলের দেয়াল থেকে ট্রাম্পের একটি প্রতিকৃতি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যা তিনি নিজে ‘বিকৃত’ বলে মনে করতেন।
এছাড়াও, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভাব্য তহবিল কাটছাঁটের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (USC) তাদের সকল পদে কর্মী নিয়োগ স্থগিত করেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান