ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটি রত্ন: বেকুয়ার অনাবিল সৌন্দর্য।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপ বেকুয়া, যা তার শান্ত ও স্নিগ্ধ পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জের অংশ এই দ্বীপটি যেন এক টুকরো স্বর্গ। কোলাহলমুক্ত সমুদ্রসৈকত, সবুজ পাহাড় আর আকাশের নীলের এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র হল এই বেকুয়া।
যারা প্রকৃতির কাছাকাছি, শান্ত পরিবেশে ছুটি কাটাতে ভালোবাসেন, তাদের জন্য বেকুয়া আদর্শ গন্তব্য হতে পারে।
বেকুয়ার আকর্ষণীয় দিকগুলো।
বেকুয়ার প্রধান আকর্ষণ হল এর নির্মল সমুদ্রসৈকতগুলো। প্রিন্সেস মার্গারেট বিচ এবং লোয়ার বে বিচ এখানকার জনপ্রিয় সৈকতগুলোর মধ্যে অন্যতম। স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর সাদা বালুকাবেলার এই সৈকতগুলি ছবি তোলার জন্য চমৎকার।
এছাড়া, ফ্রেন্ডশিপ বে বিচ এবং ক্রিসেন্ট বিচ-এর মতো নির্জন সৈকতগুলোতেও ভ্রমণকারীরা প্রকৃতির নীরবতা উপভোগ করতে পারেন।
বেকুয়ায় ভ্রমণের আরও কিছু কারণ:
আবাসন ও ভোজন।
বেকুয়ায় বিভিন্ন ধরনের থাকার জায়গা রয়েছে, যেমন – বিলাসবহুল হোটেল ও ভিলা। বেকুয়া বিচ হোটেল, দ্য লুকআউট, এবং দ্য লিমিং বেকুয়ার মতো স্থানে থাকার সুব্যবস্থা আছে।
এছাড়া, স্থানীয় রেস্টুরেন্টগুলোতে তাজা খাবার ও পানীয় উপভোগ করা যেতে পারে। জ্যাক’স বিচ বার, ম্যাক’স পিৎজা ও কিচেন, এবং প্রোভিশন-এর মতো রেস্টুরেন্টগুলো পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এখানকার ফ্লোটিং বারগুলিও একটি বিশেষ আকর্ষণ।
ভ্রমণের উপযুক্ত সময় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য।
নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বেকুয়া ভ্রমণের সেরা সময়। এই সময়ে আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকে।
সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে ফেরি অথবা সরাসরি বিমানে বেকুয়ায় যাওয়া যায়। বেকুয়ার জে. এফ. মিচেল বিমানবন্দরে বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া এবং সেন্ট ভিনসেন্ট থেকে কিছু ফ্লাইট আসে।
আর্থিক দিক থেকে, এখানকার মুদ্রা হল ইস্ট ক্যারিবিয়ান ডলার (EC$)। বর্তমানে ১ EC$ -এর বিনিময় মূল্য প্রায় ৩৫ বাংলাদেশী টাকার সমান।
সবুজ পাহাড়, নীল সমুদ্র আর শান্ত পরিবেশের বেকুয়া দ্বীপ হতে পারে আপনার পরবর্তী ভ্রমণের গন্তব্য।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল + লিজার