জার্মানিতে তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক এক ড্রোন, যা বনের আগুন দ্রুত শনাক্ত করতে পারবে। ‘ড্রায়াড নেটওয়ার্কস’ নামের একটি সংস্থা এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন তৈরি করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিল্ভাগার্ড’।
খবর অনুযায়ী, জার্মানির বার্লিনের কাছে অবস্থিত এবার্সওয়াল্ডে এই ড্রোনটি উপস্থাপন করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দাবানলের ঘটনা বাড়ছে, তাই দ্রুত আগুন শনাক্ত করতে পারাটা জরুরি।
জানা গেছে, এই ড্রোনটি ইনফ্রারেড ইমেজ সরবরাহ করতে সক্ষম। এটি এমন একটি অগ্নি শনাক্তকরণ ব্যবস্থার সঙ্গে কাজ করবে, যা ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে।
‘সিল্ভানেট’ নামের এই সিস্টেমটি সৌরশক্তি দ্বারা চালিত গ্যাস সেন্সর ব্যবহার করে, যা গাছের সঙ্গে স্থাপন করা যায়। এই সেন্সরগুলো আগুনের সামান্যতম আঁচও টের পেতে পারে।
প্রতিটি গ্যাস সেন্সর একটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা জুড়ে নজরদারি করতে সক্ষম।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিল্ভানেট যদি কোথাও আগুনের সূত্রপাত শনাক্ত করতে পারে, তাহলে এটি কাছাকাছি থাকা সিল্ভাগার্ড ড্রোনকে সেই স্থানে পাঠাবে। ড্রোনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে গিয়ে আগুন শনাক্ত করবে এবং বিস্তারিত ছবি সরবরাহ করবে।
এর মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।
ড্রায়াড নেটওয়ার্কসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কারsten Brinkschulte বলেছেন, “দাবানলের ক্ষেত্রে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, ততই ভালো।”
কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর এই ড্রোন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
এই প্রযুক্তির উদ্ভাবন বাংলাদেশের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। যদিও বাংলাদেশে সরাসরি দাবানলের ঘটনা বিরল, তবে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে এই ড্রোন সহায়ক হতে পারে।
এর মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নিরূপণ করা এবং উদ্ধারকাজ চালানো সহজ হবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস