কাপ্তাই প্রতিনিধি।
চিকিৎসা সেবা নিয়ে বনে ফিরে গেল লোকালয়ে এসে দাঁড়িয়ে থাকা বন্যহাতি।
পার্বত চট্টগ্রাম রাঙামাটি দক্ষিণ বন বিভাগ কাপ্তাই কর্ণফুলী রেঞ্জের সদর বিটে একটি বন্যহাতি পাহাড়ে ওঠা নামা করার সময় ডান পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়।কিন্তু হাতিটি শারীরিক ভাবে বনের ভিতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চলাচল করার কারনে বন বিভাগ চিকিৎসা সেবা দিতে একটু সমস্য হয়।কারন ৩০/৩৫বছর বয়স্ক মহিলা হাতিটি ক্ষণে ক্ষণে দিক পরিবর্তন করার কারণে চিকিৎসা সেবা দিতে একটু বিলম্বিত হয়।
বন্যহাতিটি গত কয়েকদিন যাবত প্রায় কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভবন এর আশপাশে লোকালয়ে এসে রাতে কিংবা দিনে দাঁড়িয়ে থাকে।
কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস কর্মী মিজানুর রহমান কাপ্তাই প্রতিনিধি কবির হোসেনকে ফোন করে জানান, ভাই মনে হচ্ছে হাতিটা অসুস্থ পায়ে সমস্য হাঁটতে পারেনা। তাকে তাড়া করলেও সে যায় না। দিন দিন শারীরিক ভাবে হাতির রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। আমার কোন বনবিভাগের নাম্বার নেই, আপনি একটু বনবিভাগকে জানান।
কাপ্তাই প্রতিনিধি এই সংবাদ পেয়ে কাপ্তাই বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের তাৎক্ষণিক জানানো হয়।বন বিভাগের লোকজন রাতে আসতে আসতে হাতিটি দিক পরিবর্তন করে বনের ভিতরে চলে যায়। তবে বন বিভাগ এবার আর হাল ছাড়েনি।ওয়াইল্ড লাইফ চিকিৎসকদের খবর দিয়ে নিয়ে এসে বন্যহাতির অবস্থানের সন্ধান পায়।
শুক্রবার ওয়াইল্ড ৩ সদস্য বিশিষ্ট ভেটেনারী মেডিকেল টিম এসে শুটারের মাধ্যমে তিনটি ব্যাথা নাশক ইনজেকশন পুশ করে। এর চিকিৎসা সেবা দেয়। ভেটেনারী অফিসার এইচ এস এম জুলকার লাইন ও ভেটেনারী সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান বন্য হাতিটি পাহাড়ে চলাচলের পথে কোন এক সময় ডানপায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। যার ফলে হাঁটাচলা করতে তার কষ্ট হচ্ছিল।
শুক্রবার ও শনিবার একে সঠিক চিকিৎসা সেবা দেয়ারপর অন্য হাতির পালের সাথে বনের ভিতর চলে গেছে। দক্ষিণ রাঙ্গামাটি বন বিভাগ কাপ্তাই কর্ণফুলী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক আবু কাউসার রবিবার (৬ এপ্রিল) প্রতিনিধিকে জানান, শুনেছি একটি বন্যহাতি অসুস্থ কিন্তু কোন কারনেই তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি ।
কিন্তু কাপ্তাই প্রতিনিধি কবির হোসেন হাতিটির অবস্থানের খবর দেয়।সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এবং ওয়াইল্ড লাইফ বন সংরক্ষক মো.ছানা উল্যাহ পাটোয়ারী ও ডিএফও আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াসিন নেওয়াজ সংবাদপেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হাতিটির খোঁজ খবর নেয়।এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ রাঙামাটি অঞ্চল বন সংরক্ষ মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার ও বিভাগীয় কর্মকর্তা এস,এম সাজজাদ হোসেম( ডিএফও), সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনায় এটির চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। চিকিৎসা সেবা পেয়ে শনিবার(৫ এপ্রিল)রাতে হাতিটি অন্য হাতির পালের সাথে বনের ভিতর চলে গেছে। তবে আমরা সার্বক্ষণিক হাতিটির অবস্থান পর্যবেক্ষণ রেখেছি।