মোঃ খলিলুর রহমান :
বরগুনার তালতলীতে মোঃ ফজলুল হক এর ক্রয়কৃত ৪৪ নং বড় বগী মৌজায় এস এ খতিয়ান নং ২৭৬ দাগ নং ১৮১/১৮২/২৫৬/২৫৭/২৫৮/২৬১/২৬২/২৬৩/২৬৫/২৯৮ মোট জমির পরিমান ৯০ শতাংশ জমি সরকারি খাস জমি দেখিয়ে বে-আইনিভাবে মুজিব শতবর্ষ এর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার গৃহহীনদের মাঝে ঘর নির্মান প্রকল্পের নামে দখলের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও মেলেনি প্রতিকার উল্টো অভিযোগকারীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ গুম খুনের হুমকি দিয়ে আসছে অভিযুক্তরা। উক্ত বিষয়ে গত ২১/০৮/২০২৪ ইং তারিখ মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন ক্রয়কৃত সম্পত্তির মালিক মোঃ ফজলুল হক এর ছেলে মোঃ নিজাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১। মোঃ কাওছার, উপজেলা ইউএনও, তালতলী, বরগুনা, ২। এইচ. এম. সাদিক তানভীর, উপজেলা ইউএনও, তালতলী, বরগুনা, ৩। আনোয়ার হোসেন, তহসিলদার, উপজেলা ভূমি অফিসার, সাং- স্টেশন, তালতলী, বরগুনা, ৪। মোঃ ফোরকান মিয়া, সার্ভেয়ার, উপজেলা ভূমি অফিস, সাং- স্টেশন, তালতলী, বরগুনা, ৫। মোঃ সাগর, পিতা- গোলাম সরোয়ার, ৬। আবু সালেহ, পিতা- লাল মিয়া হাওলাদার, ৭। মোঃ হাবিব, পিতা- সোনা মিয়া জমাদ্দার, সর্ব সাং- জাকিরতবক, পো+থানাঃ তালতলী, জেলাঃ বরগুনা, ৮। মোঃ কালু সিকদার, পিতা- মৃত মফেজ উদ্দিন সিকদার, ৯। খাদিজা বেগম, স্বামী মোঃ কালু সিকদার, ১০। পাখী বেগম, স্বামী- আঃ রহিম, ১১। মোসাঃ আয়েশা বেগম, স্বামী- মোঃ কামাল, ১২। মোঃ আব্দুর রহিম, পিতা- মোঃ কালু সিকদার, ১৩। মোঃ বাচ্চু মিয়া, পিতা- কালাম হাওলাদার, ১৪। মোঃ জয়নাল, পিতা- মোশারফ, সর্ব সাং- ছাতন পাড়া, থানাঃ তালতলী, জেলা- বরগুনা সহ অজ্ঞতনামা আরও ৪/৫ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক পরষ্পর যোগসাজসে মোঃ ফজলুল হক এর ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করেন। মুজিব শতবর্ষ নামে ঘর তুলতে গেলে তার সন্তানরা বাধা দিলে তাদের উপরও অভিযুক্তরা আর্তকিত হামলা চালায়। অভিযুক্তরা মোঃ ফজলুল হক এর ছোট সন্তান আবু সালেহ কে বাশের লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মেডিকেলের চিকিৎসায় তিনটি সেলাই লাগে।
উক্ত বিষয়ে মোঃ ফজলুল হক এর ছেলে মোঃ নিজাম জানায়, দুই ইউএনও তহসিল অফিসার আনোয়ার সার্ভেয়ার মোঃ ফোরকান মিয়া তারা পরষ্পর যোগ সাজসে আমার পিতার ৯০ শতাংশ ক্রয়কৃত জমি তারা সরকারি খাস জমি দেখিয়ে বে-আইনিভাবে মুজিব শতবর্ষ এর উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার গৃহহীনদের মাঝে ঘর নির্মান প্রকল্পের নামে দখল করেন। উল্লেখ থাকে যে, জমির দক্ষিণ পাশ দিয়ে লিজকৃত খাল। খালের উত্তর পাশের জমি মালিকানা এবং দক্ষিন পাশে প্রায় ১ কি.মি দূরে সরকারী খাস জমি আছে। আমার পিতার কষ্টের উপার্জিত টাকার ক্রয়কৃত জমি তারা সু-কৌশলে খাস দেখিয়ে মোঃ কালু সিকদার স্ত্রী-খাদিজা বেগম, মোঃ চুন্নু মিয়া স্ত্রী-মোসাঃ নাসিমা বেগম, মোঃ আবু জাফর স্ত্রী- মোসাঃ লাকী বেগম তাদের সাথে আর্থিক বিনিময়ে আতাত করে মুজিব শতবর্ষের আশ্রয় কেন্দ্র তাদেরকে দেন। তাদের জমি জমা ঘর-বাড়ী আছে, যাহা সরজমিনে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। তারা ক্রয়কৃত জমি ও ঘর নিয়েও ক্ষান্ত হয়নি। আমাদের পুরো জমি দখল দেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। আমার পিতার ক্রয়কৃত পুরো জমি দখল দেওয়ার পায়তারা চালালে আমরা বাধা দিলে গত ২২/০৩/২০২২ ইং তারিখে অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় সময় আমাদের উপর মোঃ সাগর, আবু সালেহ, মোঃ হাবিব, মোঃ কালু সিকদার, খাদিজা বেগম, পাখী বেগম, মোসাঃ আয়েশা বেগম, মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ বাচ্চু মিয়া, মোঃ জয়নাল সহ আরোও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন দেখলে চিনবো তারা অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। গত ০৮/০৮/২০২৩ইং তারিখ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগ কারী সংস্থা বরাবরে লিখিত আবেদন করি। আবেদনের তদন্ত সার্কেল এসপি কে দায়িত্ব দিলে এই পর্যন্ত তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।
গত ২০/০৮/২০২৪ ইং তারিখ সময় অনুমান ৩.২৩ ঘটিকায় সার্কেল এসপির সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উক্ত আবেদনের বিষয়টি তদন্তধীন আছে।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাকেসহ আমার পরিবারের সকলকে মিথ্যা মামলাসহ, গুম, খুন ও অপহরণ করতে পারে। তাই তাদের ষড়যন্ত্রের ধুম্রজাল থেকে আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি উদ্ধার করে ক্ষতিপূরণসহ ফেরত পেতে সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।