ফ্লোরিডার এক শিক্ষিকাকে ছাত্রীর পছন্দের নামে ডাকার কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে, যা বর্তমানে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা গেছে, শিক্ষিকা মেলিসা ক্যালহুন, যিনি ফ্লোরিডার স্যাটেলাইট হাই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তাকে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রীর অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই ছাত্রীর পছন্দের নামে ডাকার কারণে তার চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার আইনে, কোনো শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীর আইনি নামের পরিবর্তে অন্য কোনো নামে ডাকতে চান, তাহলে সেক্ষেত্রে অভিভাবকদের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম লঙ্ঘনের কারণেই মূলত শিক্ষিকা ক্যালহুনকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর অভিভাবক কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেন যে ক্যালহুন তার মেয়েকে তার পছন্দের নামে ডেকেছেন, যা আইন বিরুদ্ধ। অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে এবং ক্যালহুন তার ছাত্রীকে পছন্দের নামে ডাকার কথা স্বীকার করেন।
এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষ তার চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ঘটনার পর, ফ্লোরিডা কর্তৃপক্ষ ক্যালহুন এর শিক্ষকতার সনদ পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ক্যালহুন ২০১৩ সাল থেকে এই স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অভিভাবকদের তাদের সন্তানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারকে তারা সমর্থন করে এবং ফ্লোরিডার আইনও তা নিশ্চিত করে।
ক্যালহুন এর সহকর্মী, ক্রিস্টিন স্ট্যানিয়েক, এক স্কুল বোর্ড মিটিংয়ে বলেন, ক্যালহুন ক্লাসরুমে এবং শিক্ষার্থীদের জীবনে, এমনকি তার নিজের সন্তানের জীবনেও ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন।
তিনি আরও বেশি কিছু পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। তার প্রতি ন্যায়বিচার, সহানুভূতি দেখানো উচিত ছিল।
এই ঘটনার পর, “মিস ক্যালহুনকে পুনর্বহাল করুন” শিরোনামে একটি পিটিশন চালু করা হয়েছে, যেখানে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪,৫০০ জনের বেশি স্বাক্ষর জমা পড়েছে।
পিটিশনে সমর্থনকারীরা বলছেন, ক্যালহুন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে পারদর্শী ছিলেন এবং তিনি একজন ভালো শিক্ষক ছিলেন।
তথ্যসূত্র: পিপলস