মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে বিরল প্রজাতির একটি মিনকে তিমিকে অবশেষে ‘ইউথানাইজ’ বা ‘দয়া মৃত্যু’ দিতে হয়েছে। আটই এপ্রিল, মঙ্গলবার গভীর রাতে এমেরিভিল মেরিনার কাছে আটকে পড়া এই তিমিটিকে বাঁচানোর সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় মেরিন ম্যামাল সেন্টার।
সংস্থাটি জানায়, প্রথমে তিমিটি অগভীর কাদার মধ্যে আটকা পড়ে। পরে এটিকে গভীর পানিতে সরানোর চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। ফলে তিমিটির জীবন বাঁচানোর আর কোনো সম্ভাবনা ছিল না। এরপর এটিকে ‘ইউথানাইজ’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা ছিল অত্যন্ত কঠিন।
মেরিন ম্যামাল সেন্টার আরও জানায়, তারা এই তিমির ময়নাতদন্তের পরিকল্পনা করছেন, তবে এর ফল জানতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।
এই ঘটনার পাশাপাশি, গত কয়েকদিনে সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে তিনটি গ্রে তিমি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একটির ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। অন্য একটি তিমির দেহে জাহাজের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত মৃত্যুর কারণ।
মেরিন ম্যামাল সেন্টার জানিয়েছে, মৃত তিমিগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে তারা কাজ করছেন। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বেড়ে যাওয়ায় তিমি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর জীবনযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিমিদের মৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
মেরিন ম্যামাল সেন্টারের cetacean সংরক্ষণ জীববিদ্যার পরিচালক ক্যাথি জর্জ বলেছেন, “উপসাগরটি বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং এখানে তিমিদের আনাগোনাও বেড়েছে। তাই সকল নৌযান, বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে শুরু করে ছোট পালতোলা নৌকা পর্যন্ত, সবাইকে তিমি সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যদি কোনো তিমি দেখতে পান, তাহলে গতি কমিয়ে দিন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ বছরে মিনকে তিমি দেখা যাওয়ার ঘটনা খুবই বিরল, এটি ছিল পঞ্চম ঘটনা।
তথ্য সূত্র: পিপল