মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক কিশোরীর প্রতিবেশী এক বালিকার সঙ্গে খেলা, যা পরে পুলিশের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি ২০১৭ সালের, যখন কেইলি রোজ নামের এক তরুণী, যিনি তখন হাই স্কুলের ছাত্রী ছিলেন, তার প্রতিবেশী আট বছর বয়সী এক বালিকার সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে পরিচিত হন।
একদিন কেইলি তার বাড়ির পেছনের উঠোনে, ট্রাম্পোলাইনের উপর বসে ছিলেন। প্রতিবেশী বাড়ির মেয়েটি এসে কেইলিকে ট্রাম্পোলাইনটি ব্যবহার করার অনুমতি চায়। কেইলি তখন তাকে বাধা দেননি, বরং তারা দুজনে মিলে খেলাধুলা শুরু করে।
খেলাচ্ছলে তারা বাস্কেটবল খেলে, ফুটবল খেলে এবং কিছুক্ষণ পর কেইলি তার ঘরটি মেয়েটিকে দেখাতে রাজি হন।
ঘরে ঢোকার পর মেয়েটি কেইলির মেকআপের সরঞ্জাম দেখতে চায় এবং কেইলি তাকে নিজের ইচ্ছামতো সাজগোজ করার সুযোগ দেন। মেয়েটি কেইলির পুরো মুখের উপরের অংশে নীল আইশ্যাডো লাগায়।
এরপর তারা একটি পুরনো পোলারয়েড ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলে, যা তাদের বন্ধুত্বের স্মৃতি হিসেবে থেকে যায়।
কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরই কেইলির দরজায় জোরে শব্দ হতে থাকে। দরজা খুলতেই তিনি দেখেন, কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষিত কুকুর রয়েছে।
পুলিশ সদস্যরা কেইলিকে প্রতিবেশী মেয়েটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। ততক্ষণে, কেইলির বাড়ির উঠোনে মেয়েটির পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী এবং উদ্ধারকর্মীদের একটি বিশাল দল জড়ো হয়।
জানা যায়, মেয়েটি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পরে তার পরিবার তাকে খুঁজে বের করার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল।
অবশেষে, ঘটনার ভুল বোঝাবুঝি দূর হয় এবং মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কেইলি জানান, তিনি নিজেও এই ঘটনায় বেশ অবাক হয়েছিলেন।
সম্প্রতি, কেইলি রোজ তার পুরোনো এই অভিজ্ঞতা টিকটকে শেয়ার করেন। তার এই ভিডিওটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় এবং নেটিজেনদের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি করে। অনেকে তাদের কৈশোরের এমন কিছু মজার স্মৃতিচারণ করেন।
কেইলি জানান, তিনি নিজেও বিষয়টি নিয়ে হাসিখুশি ছিলেন এবং সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় আনন্দিত হয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর, কেইলি এবং মেয়েটির মধ্যে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে, কেইলি রোজ মনে করেন, এই ঘটনার মাধ্যমে শিশুদের নিরাপত্তা এবং তাদের প্রতি সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপলস