মহাকাশ যুদ্ধ: আসল ‘স্টার ওয়ার্স’ আবার প্রেক্ষাগৃহে, কেমন হবে অভিজ্ঞতা?
বহু বছর পর, রুপালি পর্দায় ফিরছে ‘স্টার ওয়ার্স’-এর আসল সংস্করণ। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রের মূল সংস্করণটি লন্ডনের ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটে (BFI) ‘ফিল্ম অন ফিল্ম’ উৎসবে প্রদর্শিত হবে।
খবরটি সিনেমাপ্রেমীদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। তবে, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, এত বছর পর এই ক্লাসিক সিনেমাটি দেখলে কেমন লাগবে? জর্জ লুকাস, যিনি এই মহাকাব্য তৈরি করেছেন, তাঁর মতে, ১৯৯৭ সালের ‘স্পেশাল এডিশন’ আসল সংস্করণের চেয়ে অনেক ভালো। তাহলে কি লুকাসের কথাই ঠিক?
‘স্টার ওয়ার্স’-এর উন্মাদনা:
‘স্টার ওয়ার্স’ (Star Wars) চলচ্চিত্রটি বিশ্বজুড়ে এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে যে, এটি শুধু একটি সিনেমা নয়, বরং একটি সংস্কৃতির অংশ। যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর জনপ্রিয়তা বলিউড সিনেমার মতো ব্যাপক নয়, তবুও অনেক সিনেমাপ্রেমী এই সিরিজের সিনেমাগুলো উপভোগ করেন।
এই সিনেমার জগৎ, চরিত্র এবং গল্প দর্শকদের এতটাই আকৃষ্ট করেছে যে, এটি একটি বিশাল বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
আসল বনাম ‘স্পেশাল এডিশন’:
আসল ‘স্টার ওয়ার্স’ মুক্তি পাওয়ার পর, জর্জ লুকাস এর কিছু দৃশ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবর্তন করেন। এই পরিবর্তনের ফলে কিছু ভক্ত অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন।
তাদের মতে, আসল সংস্করণের সারল্য এবং আকর্ষণ ‘স্পেশাল এডিশন’-এ ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, ‘স্পেশাল এডিশন’-এ কিছু অতিরিক্ত দৃশ্য যুক্ত করা হয়েছিল, যেমন – জাবা দ্য হাট নামের একটি চরিত্রের দৃশ্য, যা অনেকের কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।
ডিসনির অধিগ্রহণ এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:
২০১২ সালে, বিশাল অঙ্কের বিনিময়ে ডিজনি (Disney) ‘স্টার ওয়ার্স’ ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নেয়। এই চুক্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের বার্ষিক বাজেটের চেয়েও বেশি।
ডিজনির অধীনে, ‘স্টার ওয়ার্স’-এর নতুন সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে, তবে অনেক ভক্ত মনে করেন, সেগুলোর মান আগের মতো নেই। এখন দেখার বিষয়, আসল সংস্করণটি আবার মুক্তি পেলে দর্শকদের কেমন প্রতিক্রিয়া হয়।
সম্ভবত, এর মাধ্যমে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পুরনো গৌরব ফিরে পেতে পারে।
উপসংহার:
লন্ডনে ‘স্টার ওয়ার্স’-এর আসল সংস্করণের প্রদর্শনী সিনেমাপ্রেমীদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ। এটি পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করার পাশাপাশি, নতুন প্রজন্মের দর্শকদেরও এই ক্লাসিক সিনেমাটি উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে।
এখন শুধু অপেক্ষার পালা, কবে এই সিনেমাটি আবার সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian