1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
April 21, 2025 11:10 PM

কাউখালীতে মাটির তৈজসপত্র ও তৈরীখেলনায় মনের-মাধুরী মিশিয়ে রংতুলিতে ব্যাস্ত এক মৃৎশিল্পী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Saturday, April 12, 2025,
Oplus_131072

ওমর ফারুক, কাউখালী। 

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গ্রামে মেলাসহ নানান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আর এসব অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বেড়ে যায় মাটির তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্রের চাহিদা। ফাল্গুন মাস থেকেই এ সকল তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন পিরোজপুরের কাউখালীর মৃৎশিল্পীরা।

উপজেলার সোনাকুর গ্রামের মৃৎশিল্প কারিগর নিমাই পাল( ৬৭) বলেন, এসকল মালামাল বেশিরভাগ আগেই তৈরি করা থাকে। সিজনে রঙ দিয়ে এবং বিভিন্ন কারুকাজ করে আমরা এ মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরি করি। সারা বছরই এ কাজ করি তবে এই সময়ে আমাদের ব্যাস্ততা একটু বাড়ে।
তারা মনে করেন, বাংলা নববর্ষের উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী এসব পণ্যের বেচাকেনা বাড়লে সারা বছরের লোকসান কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
সরেজমিন সোনাকুর, রঘুনাথপুর, ধাবরি এলাকার পালপাড়ায় দেখাযায়,বৈশাখী মেলায় ব্যবসা করতে পণ্য তৈরিতে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন মৃৎশিল্পীরা। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত বাড়ির আঙিনায় বসে মাটি দিয়ে পুতুল হাতি ঘোড়া ময়ূর হাঁড়িপাতিল সহ বিভিন্ন খেলনা ও সামগ্রী তৈরি করছেন।
মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা গুলো রোদে শুকানোর পরে বিশেষ পদ্ধতিতে আগুনে পুড়িয়ে নিপুণ তলির আঁচড়ে বাহারি রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এইচ এম দীন মোহামেদ জানান, তাদের তৈরি জিনিস পত্রগুলো পহেলা বৈশাখের মেলা সহ এলাকার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হবে।যদিও প্লাস্টিকের পণ্য বাজার দখল করে নেওয়ায় মাটির তৈরি তৈজসপত্রের চাহিদা কমে গেছে। তারপরও বাপ-দাদার এ পেশাকে এখনো ধরে রেখেছেন তারা।

পৃষ্ঠ পোষকতা ও প্রশিক্ষণ পেলে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করছেন কাউখালী উপজেলার মৃৎশিল্পরা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT