সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে পরিচিত মুখ পাইপার রকেল। কিশোরী এই ইউটিউবারের খ্যাতি তৈরি করতে যাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হান্টার হিল।
পাইপারের মা টিফানি স্মিথের সঙ্গে মিলে তিনি তৈরি করেন ‘স্কোয়াড’ নামে পরিচিত একদল কিশোর ইউটিউবার। তবে এই সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে ছিল গুরুতর কিছু অভিযোগ।
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস করা হান্টার হিলের ইউটিউব যাত্রা শুরু হয়। তবে নিজের চ্যানেল তৈরি করার বদলে তিনি মনোযোগ দেন পাইপার রকেলের ইউটিউব চ্যানেল তৈরিতে।
পাইপারের মায়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কও গড়ে ওঠে। একসময় পাইপার ও তার মায়ের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতে শুরু করেন হান্টার।
পাইপার রকেলের ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও তৈরি ও সম্পাদনার কাজ করতেন তিনি। এমনকি ‘স্কোয়াড’-এর অন্য সদস্যদের চ্যানেলও তিনিই দেখাশোনা করতেন।
শোনা যায়, সদস্যদের আয়ের একটা অংশ তিনি নিতেন।
কিন্তু এই সাফল্যের পথ মসৃণ ছিল না। ২০২১ সালে ‘স্কোয়াড’-এর কয়েকজন সদস্যের অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে হওয়া কিছু ঘটনার অভিযোগ তোলেন।
তাঁদের অভিযোগ ছিল, শিশুদের দিয়ে বেশি কাজ করানো হচ্ছে এবং তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না।
এরপর ২০২১ সালে টিফানি স্মিথ ও হান্টার হিলের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করা হয়।
অভিযোগ ছিল, অভিযুক্তরা শিশুদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন, যা তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলেছিল। এমনকি, অশ্লীল মন্তব্য করারও অভিযোগ ওঠে।
২০২২ সালে, এই ঘটনার জেরে প্রাক্তন ‘স্কোয়াড’ সদস্যদের মধ্যে ১১ জন ২ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করেন।
যদিও টিফানি স্মিথ ও হান্টার হিল এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। অবশেষে, ২০২৪ সালে আদালত মামলার শুনানিতে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ ডলারে আপস রফা হয়।
এই ঘটনার পর, এই ইউটিউবার এবং তাঁর কাজ নিয়ে তৈরি হয় নেটফ্লিক্সের একটি তথ্যচিত্র, যার নাম ছিল ‘ব্যাড ইনফ্লুয়েন্স: দ্য ডার্ক সাইড অফ কিডফ্লুয়েন্সিং’। এই তথ্যচিত্রে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
বর্তমানে হান্টার হিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন। তিনি নিয়মিতভাবে ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেন।
যদিও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং পাইপার রকেলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে এখনো অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল