একটি নতুন খবর: ৯/১১-র প্রেক্ষাপটে হাস্যরসের মোড়কে মুসলিম-আমেরিকান জীবন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমেডিয়ান এবং অভিনেতা রামি ইউসেফ তাঁর নতুন একটি অ্যানিমেটেড সিরিজ নিয়ে আসছেন, যেখানে ৯/১১-এর ঘটনার পরে একজন মুসলিম পরিবারের জীবনযাত্রা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই সিরিজে একদিকে যেমন রয়েছে হাস্যরস, তেমনই রয়েছে গভীর জীবনবোধের ছোঁয়া।
‘১# হ্যাপি ফ্যামিলি ইউএসএ’ নামের এই সিরিজে একটি ১২ বছর বয়সী বালকের দৃষ্টিকোণ থেকে ঘটনার ঘনঘটা তুলে ধরা হয়েছে।
৯/১১-এর সন্ত্রাসী হামলার স্মৃতি আজও অনেকের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। এই ঘটনার পর মুসলিম-আমেরিকানদের জীবনে যে পরিবর্তন এসেছিল, সেই দিকটিই তুলে ধরেছেন রামি।
তাঁর মতে, এই ধরনের ঘটনাগুলো মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলে, যা সহজে প্রকাশ করা যায় না। কার্টুন বা অ্যানিমেশন সেই গভীরতাকে হালকা করে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে, যা সম্ভবত সিরিয়াস আলোচনার চেয়ে বেশি কার্যকর।
র্যামি ইউসেফ-এর পরিবার মিশরের এবং তিনি নিজেও একজন মুসলিম। তিনি তাঁর কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনে মুসলিম পরিচয় ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
তাঁর আগের কাজ ‘রামী’ (Ramy) এবং ‘মো’ (Mo) সিরিজগুলোতেও এই বিষয়গুলো দেখা গেছে। তাঁর মতে, “আমাদের সমাজের গল্পগুলো বলার মতো যথেষ্ট সুযোগ এখনো তৈরি হয়নি। আমি সেই শূন্যতা পূরণ করতে চাই।”
নতুন এই সিরিজটি নির্মাণ করতে গিয়ে রামির ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতার কথাও উঠে এসেছে। ৯/১১-এর সময় তাঁর নিজের কেমন লেগেছিল, সেই অনুভূতিগুলোও তিনি দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান।
রামির কথায়, “তখন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। চারপাশের পরিস্থিতি দেখে আমি খুবই ভীত হয়ে পড়েছিলাম। স্কুলে, পাড়ায়, সবজায়গায় কেমন একটা অচেনা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।”
বর্তমানে রামির কাজ শুধু বিনোদন জগতেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়েও তিনি মুখ খোলেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে।
তিনি মনে করেন, নিজের সম্প্রদায়ের মানুষদের হয়ে কথা বলাটা তাঁর দায়িত্ব।
‘১# হ্যাপি ফ্যামিলি ইউএসএ’ সিরিজটি আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে। রামির এই কাজটি দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে কেমন সাড়া ফেলে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান