আলোচিত ‘দ্য লাস্ট অফ আস’ (The Last of Us) -এর দ্বিতীয় সিজনের পর্যালোচনা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই সিরিজটি একটি ভিডিও গেমের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত, যা ইতিমধ্যেই দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করেছে।
গল্পটি একটি ভয়ংকর ভবিষ্যতের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে, যেখানে এক ভয়ানক ছত্রাক সংক্রমণের কারণে মানবজাতি ধ্বংসের মুখে। এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য মানুষ যখন সংগ্রাম করছে, তখন সিরিজের প্রধান চরিত্র জোয়েল (অভিনয়ে: পেদ্রো পাস্কাল) এবং এলি (অভিনয়ে: বেলা রামসে) -এর যাত্রা নতুন মোড় নেয়।
প্রথম সিজনে, জোয়েল-এর কাজ ছিল এলিকে রক্ষা করা, যে এই ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে মুক্ত ছিল। বিজ্ঞানীরা একটি প্রতিষেধক তৈরির চেষ্টা করছিলেন, যার জন্য এলির মস্তিষ্ককে ব্যবহার করার প্রয়োজন ছিল। জোয়েল, এলিকে বাঁচাতে গিয়ে সকলের বিরুদ্ধে গিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় সিজনের শুরুতে, ঘটনার পাঁচ বছর পর, আমরা দেখি তারা এখন ওয়াইওমিং রাজ্যের জ্যাকসন শহরে বসবাস করছে। সেখানে তারা একটি সুরক্ষিত আশ্রয়ে জীবন যাপন করছে, তবে অতীতের স্মৃতি এবং ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা তাদের মানসিক শান্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এই সিজনে এলিকে নিয়েই মূল গল্প আবর্তিত হয়েছে। ১৯ বছর বয়সী এলি, অতীতের আঘাত থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রাম করছে, অন্যদিকে জোয়েল তার সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে চলেছে। বেলা রামসের অসাধারণ অভিনয়, এলির চরিত্রে গভীরতা যোগ করেছে।
তার চরিত্রে একদিকে যেমন বিদ্রোহ, তেমনই রয়েছে গভীর একাকীত্ব। এলির চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বেলা রামসে দর্শকদের মন জয় করেছেন।
সিরিজে নতুন একটি চরিত্র, দিনা (অভিনয়ে: ইসাবেলা মার্সেড) -এর আগমন ঘটে। দিনা, এলির সবচেয়ে ভালো বন্ধু, যে কিনা এলির জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠে। তাদের বন্ধুত্ব এবং সম্পর্কের জটিলতা দর্শকদের আকর্ষণ করে।
এই সিজনে, গল্পের বিস্তার আগের চেয়ে একটু কম হলেও, চরিত্রগুলোর গভীরতা এবং তাদের সম্পর্কের বুনন বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
পর্যালোচনায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে আগের মতো অনেকগুলি আলাদা, ছোট ছোট পর্ব নেই, যা প্রথম সিজনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। তবে, এলির ব্যক্তিগত জীবন এবং তার ভেতরের সংগ্রাম এই সিজনের প্রধান আকর্ষণ।
সব মিলিয়ে, ‘দ্য লাস্ট অফ আস’ দ্বিতীয় সিজন দর্শকদের জন্য একটি শক্তিশালী এবং আবেগপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশে বসবাসকারী দর্শকদের জন্য, যারা এই ধরনের উত্তর-আধুনিক গল্প পছন্দ করেন, তাদের কাছে সিরিজটি উপভোগ্য হতে পারে।
তবে, স্থানীয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে এর উপলব্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান