শিরোনাম: ব্যাকস্ট্রিট বয়েজের নিক কার্টারের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, ক্যান্সার হওয়ার কারণ জানালেন এক নারী
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ব্যাকস্ট্রিট বয়েজ ব্যান্ডের সদস্য নিক কার্টারের বিরুদ্ধে এক নারীর করা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
লরা পেনলি নামের ওই নারীর দাবি, ২০০৪ সালে নিক কার্টার তাকে যৌন নির্যাতন করেন এবং এর ফলে তিনি যৌনরোগে (এসটিডি) আক্রান্ত হন, যা পরবর্তীতে তার সারভাইকাল ক্যান্সারের কারণ হয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি অ্যাপার্টমেন্টে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিক কার্টার তাকে একাধিকবার নির্যাতন করেন।
পেনলি জানিয়েছেন, তারা প্রথমদিকে পারস্পরিক সম্মতিতে মিলিত হতেন। তবে পরে কার্টার তার হলিউডের অ্যাপার্টমেন্টে তাকে ধর্ষণ করেন। পেনলির দাবি, তিনি কার্টারকে কনডম ব্যবহার করতে বললেও তিনি শোনেননি এবং নিজেকে ‘নিরাপদ’ দাবি করেছিলেন।
এর ফলেই তিনি যৌনরোগে আক্রান্ত হন।
পেনলির অভিযোগ, এর কয়েক মাস পরেই তিনি ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোরিয়ায় আক্রান্ত হন। চিকিৎসকের পরীক্ষার পর তার শরীরে ক্যান্সারের কোষও ধরা পড়ে।
পরবর্তীতে, তিনি দ্বিতীয় স্তরের সারভাইকাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসার জন্য তাকে অনেক কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। এর ফলে তিনি মানসিক এবং শারীরিক কষ্টের শিকার হয়েছেন।
পেনলি জানিয়েছেন, তিনি নিক কার্টারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার পর তার ভক্তদের দ্বারা হয়রানির শিকারও হয়েছেন। তিনি ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫,০০০ ডলারের বেশি অর্থ চেয়েছেন এবং বিচারকের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের আবেদন করেছেন।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার সমান।
তবে, নিক কার্টার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এটি তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ। তাদের মতে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কার্টার এর আগে কখনো পেনলিকে চেনেনও না।
নিক কার্টারের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও মেলিসা শুম্যান, অ্যাশলে রেপ এবং শ্যানন রুথ নামের আরও তিনজন নারী একই ধরনের অভিযোগ এনেছেন।
কার্টার তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছেন। বর্তমানে, শুম্যানের মামলাটি ক্যালিফোর্নিয়ায় এবং রেপ ও রুথের মামলা নেভাদায় শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
যৌন নির্যাতনের শিকার হলে, বাংলাদেশের যে কোনো নারী সহায়তা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম