মহাকাশ অভিযানে নারীদের জয়জয়কার! ব্লু অরিজিনের প্রথম নারী মহাকাশচারী দলের সদস্য ছিলেন সাবেক নাসা বিজ্ঞানী আয়েশা বো। তাঁর এই সাফল্যে গর্বিত ছিলেন প্রয়াত বাবা।
মহাকাশ একটি বিশাল জগৎ, যেখানে মানুষের পদচিহ্ন নতুন দিগন্তের সূচনা করে। সম্প্রতি, ব্লু অরিজিনের একটি বিশেষ অভিযানে ছয় জন নারীর দল মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছিল।
এই ঐতিহাসিক অভিযানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন সাবেক নাসা রকেট বিজ্ঞানী আয়েশা বো। তাঁর এই সাফল্য শুধু তাঁর একার নয়, বরং বিশ্বজুড়ে নারীদের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা।
আয়েশার বাবা, যিনি নিজেও মহাকাশচারী হতে চেয়েছিলেন, তাঁর মেয়ের এই সাফল্যে ছিলেন অত্যন্ত গর্বিত। জানুয়ারী মাসে তিনি মারা যান, কিন্তু তাঁর মৃত্যুর আগে আয়েশার মহাকাশ যাত্রার খবর শুনে তিনি একটি আবেগপূর্ণ বার্তা পাঠিয়েছিলেন।
সেই বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, “আমি জানতে পারলাম তুমি উড়ছ, তোমার আগে ও পরে যারা আছে, তারা সবাই তোমায় নিয়ে গর্বিত।” বাবার এই কথাগুলো আয়েশার কাছে আজও অমূল্য।
এই মিশনে, আয়েশা তাঁর পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি বিশেষ কাজ করেছিলেন। তিনি একটি বাহামার প্রতীক সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই কাজটি ছিল তাঁর কাছে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের মধ্যে একটি যোগসূত্র স্থাপন করার মতো।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই মিশনটি ছিল অ্যালান শেপার্ডের (Alan Shepard) মহাকাশ ভ্রমণের একটি প্রতিচ্ছবি, যা একসময় বাহামাতেও ঘটেছিল।
আয়েশার মতে, এই মিশনটি যেন “হওয়ারই ছিল”। তাঁর ৯২ বছর বয়সী দাদা, যিনি বাহামার এক্সুমাতে (Exuma) জন্মগ্রহণ করেছিলেন, নাতনির এই মহাকাশ যাত্রা দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন।
শুধু আয়েশা নয়, এই মিশনে অংশ নেওয়া অন্যান্য মহাকাশচারীরাও তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। বায়োঅ্যাস্ট্রোন্যটিক্স রিসার্চ সায়েন্টিস্ট আমান্ডা নুয়েন (Amanda Nguyen) তাঁর পরীক্ষার কথা বলতে গিয়ে জানান, কিভাবে তিনি গভীর রাতে উঠে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
মহাকাশ যাত্রা শেষে আমান্ডা তাঁর সম্প্রদায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি বিজ্ঞান বিষয়ক কাজটি করতে পেরেছি, গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছি, এবং আমার সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান জানাতে পেরেছি, যা সত্যিই আনন্দের।”
এই মিশন প্রমাণ করে দিয়েছে, মহাকাশ গবেষণায় নারীরাও সমানভাবে সফল। আয়েশা বো-এর এই সাফল্য শুধু তাঁর নিজের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল