প্রিন্স হ্যারির নিরাপত্তা বিষয়ক লড়াই: বাড়ছে বাদশাহ চার্লসের সঙ্গে দূরত্ব।
যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারির নিরাপত্তা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে, আর এরই মধ্যে তার বাবা, বাদশাহ তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তাদের মধ্যে সম্পর্কের বরফ এখনো গলেনি, বরং দূরত্ব বাড়ছে।
২০২০ সালে ডিউক ও ডাচেস অফ সাসেক্স, অর্থাৎ প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর হ্যারির সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হয়।
সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন হ্যারি।
তার মতে, সরকারি নিরাপত্তা বাতিলের সিদ্ধান্ত ছিল তাকে এবং মেগানকে নিয়ন্ত্রণে আনার একটি কৌশল।
এমনকি রাজপরিবার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ারও একটা চেষ্টা ছিল।
প্রিন্স হ্যারির ঘনিষ্ঠজনদের মতে, বাদশাহ চার্লস চাইলে এখনো হস্তক্ষেপ করে হ্যারির নিরাপত্তা পুনর্বহাল করতে পারেন।
কিন্তু রাজপরিবার এখন পর্যন্ত সেই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক এতটাই খারাপ যে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাদশাহর অসুস্থতা এবং মার্চে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবরও হ্যারি জানতে পারেন গণমাধ্যম থেকে।
হ্যারি মনে করেন, তার সন্তানদের, প্রিন্স আর্চি ও প্রিন্সেস লিলিবেটের ব্রিটিশ ঐতিহ্য ও পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা উচিত।
তাদেরও এই দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে, হ্যারির ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গেও তার সম্পর্ক আগের মতো নেই।
তাদের মধ্যেও কোনো আলোচনা হচ্ছে না।
এমনকি হ্যারির লেখা আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’-এর কিছু বিষয় নিয়েও তাদের মধ্যে এখনো ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে।
আইনি লড়াইয়ের কারণে হ্যারি সরাসরি তাদের মুখোমুখি হয়েছেন, যারা বাদশাহর নির্দেশ পালন করেন।
হ্যারি মনে করেন, এই মামলার কারণে অনেকেই হয়তো এমন কিছু তথ্য জানতে পারবেন যা আগে তাদের অজানা ছিল।
তবে, রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, ব্যক্তিগত জীবন ও সরকারি দায়িত্বের মধ্যে পার্থক্য করা যেতে পারে, কিন্তু পরিস্থিতি বেশ কঠিন হয়ে আছে।
মামলার ফল এখনো জানা যায়নি, তবে হ্যারি জানিয়েছেন, তিনি ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।
তিনি মনে করেন, মেগান ও তাদের সন্তানদের কোনো ক্ষতি হলে, তিনি কখনোই শান্ত থাকতে পারবেন না।
তথ্য সূত্র: পিপল।