জন অলিভার, যিনি ‘লাস্ট উইক টুনাইট’ নামক জনপ্রিয় টিভি শো-এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন, ব্যক্তিগত জীবনকে রেখেছেন প্রচারের আড়ালে। যদিও তিনি একাধিকবার এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন, তার সন্তানদের থেকে দূরে রেখেছেন এই পুরস্কারগুলো।
২০১৫ সালে তার প্রথম পুত্র, হাডসন-এর জন্ম হয়, এবং ২০১৮ সালে তাদের পরিবারে আসে দ্বিতীয় পুত্র।
সন্তানদের জন্ম এবং তাদের বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতা নিয়ে জন অলিভার মাঝেমধ্যে মজাদার কিছু কথা বলেছেন। যেমন, তিনি একবার বলেছিলেন, তার ছেলেরা যেন কোনোভাবেই তার এমি অ্যাওয়ার্ডগুলো ছুঁতে না পারে, কারণ সেগুলো “ধারালো, ভারী ধাতব বস্তু”।
সন্তানদের সঙ্গে ঝগড়া হলে যেন তারা সেগুলো ব্যবহার করতে না পারে, সে জন্যেই তার এই ব্যবস্থা।
২০১৫ সালের নভেম্বরে জন অলিভার এবং তার স্ত্রী কেট নরলির প্রথম সন্তান হাডসন-এর জন্ম হয়। তবে, এই সময়ে অলিভারের জীবনে কিছু কঠিন পরিস্থিতিও ছিল।
হাডসন-এর জন্মের আগে কঠিন কিছু শারীরিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল এবং জন্মের পরেও বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন অলিভার। তিনি একবার বলেছিলেন, “সন্তান জন্মগ্রহণের পর আপনি তাকে ভালোবাসতে শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন যে আগের অনেক কিছুই আর সেভাবে কাজ করে না।”
দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের খবরটি অলিভার এবং তার স্ত্রী অনেকটা গোপন রেখেছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি জানান, তাদের দ্বিতীয় পুত্র হয়েছে, তবে জন্মের তিন মাস পর।
তিনি মজা করে বলেছিলেন, তাদের ছেলে “ঘুমায়, পায়খানা করে, এবং কাঁদে – এই তো তার জীবন।”
অলিভারের ছোট ছেলের পছন্দের একটি গান হলো রেড হট চিলি পেপার্সের ‘আন্ডার দ্য ব্রিজ’। এই গানটি তার ছেলের এতটাই প্রিয় যে, সে সবসময় এটি শুনতে চায়।
অলিভার বলেছেন, “ছোট্ট একটা ছেলের মুখ থেকে যখন এই গান শুনি, তখন যেন অন্যরকম এক অনুভূতি হয়।”
জন অলিভার বিভিন্ন সময়ে তার সন্তানদের কথা উল্লেখ করেছেন। একবার এমি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি তার স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, তার সন্তানরা সেখানে নেই, তবে তারা এতে খুব রাগ করেছে।
তিনি মজা করে বলেছিলেন, তিনি তাদের পকেমন কার্ড কিনে দিতে ভুলে গেছেন।
জন অলিভারের এই ব্যক্তিগত জীবন এবং সন্তানদের প্রতি তার ভালোবাসার প্রকাশ, অনেকের কাছেই অনুকরণীয়। একদিকে যেমন তিনি তার কাজের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেছেন, তেমনই পারিবারিক জীবনকে রেখেছেন সুরক্ষিত।
তথ্য সূত্র: পিপল