গর্ভবতী এক নারীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তৈরি হওয়া সমস্যা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জানা গেছে, ওই নারী তাঁর স্বামীর বন্ধুর ঘন ঘন বাড়িতে আসা-যাওয়ার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এই বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি অনলাইনে পরামর্শ চেয়েছেন, যেখানে অনেকেই তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারীর স্বামী তাঁর এক বন্ধুকে কয়েকদিন পর পর তাঁদের বাড়িতে আসতে দেন। ওই বন্ধু বর্তমানে ‘ভ্যানলাইফিং’-এর (নিজের ভ্যানে বসবাস করা) মাধ্যমে জীবন যাপন করছেন। বন্ধুদের এমন জীবনযাত্রায় সাহায্য করতে রাজি ছিলেন ওই নারী, তবে এখন তিনি সন্তানসম্ভবা হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে।
ওই নারীর অভিযোগ, তাঁর স্বামীর বন্ধু এসে গোসলখানা, রান্নাঘর, কাপড় ধোলাইয়ের স্থান এবং ওয়াইফাই ব্যবহার করেন। এতে তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরে ব্যাঘাত ঘটে এবং বাড়তি কাজের চাপ তৈরি হয়। বিশেষ করে গর্ভবতী অবস্থায় তাঁর বিশ্রাম ও নিজের মতো থাকার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়, যা এই পরিস্থিতিতে কঠিন হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, বন্ধুটির ব্যবহারের কারণে তাঁকে অতিরিক্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে হয়। বাথরুম ব্যবহারের পর সেখানে প্রচুর পরিমাণে চুল পরে থাকে, যা পরিষ্কার করতে তাঁর ভালো লাগে না। এছাড়া কাপড় ধোলাইয়ের স্থানে পাতা ও অন্যান্য আবর্জনা পরে থাকে। রান্নার সময়ও তিনি অনেক সময় রান্নাঘরে যেতে পারেন না, কারণ বন্ধুটি সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করেন।
বিষয়টি নিয়ে যখন তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন, তখন তাঁর স্বামী বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। বরং তিনি স্ত্রীর এই আচরণকে ‘নিষ্ঠুর’ এবং ‘অসংবেদনশীল’ হিসেবে অভিহিত করেন। স্বামীকে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, এই সময়ে তাঁর একটু বেশি বিশ্রামের প্রয়োজন এবং বন্ধুটির জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু স্বামী তাতে রাজি নন।
বরং বন্ধুকে কিছু বলতেও তিনি রাজি নন, কারণ এতে তাঁর বন্ধু কষ্ট পেতে পারে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর এই সমস্যার কথা জানান এবং অন্যদের পরামর্শ চান। সেখানে অনেকে তাঁর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে এবং তাঁর এই উদ্বেগকে সমর্থন করেন। ব্যবহারকারীরা মনে করেন, একজন গর্ভবতী নারীর এই সময়ে বেশি বিশ্রাম ও মানসিক শান্তির প্রয়োজন। তাই বন্ধুদের ঘন ঘন বাড়িতে আসা-যাওয়া বন্ধ করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক জীবনে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়াটা খুব জরুরি। বিশেষ করে যখন একটি পরিবার নতুন সদস্যের আগমনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন পারস্পরিক বোঝাপড়া ও ছাড় দেওয়ার মানসিকতা অপরিহার্য। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সঙ্গীর অনুভূতিকে গুরুত্ব দেওয়া এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল