কলেজের স্কলারশিপ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে মনোমালিন্য: এক শিক্ষার্থীর অভিজ্ঞতা
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের দুই বন্ধু, যাদের মধ্যে একজন তার আর্থিক অবস্থার কারণে সম্পূর্ণ স্কলারশিপ পাচ্ছিল, আর অন্যজন কিছু ছোটখাটো স্কলারশিপ পেলেও তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া মানসিক টানাপোড়নের এক বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। সম্প্রতি, এই ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন এক বন্ধু, যিনি অপেক্ষাকৃত কম স্কলারশিপ পাচ্ছিলেন, তার বন্ধুকে ঈর্ষা প্রকাশ করে। এই ঈর্ষা প্রকাশের কারণ ছিল, তার বন্ধু সম্পূর্ণ টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচ থেকে মুক্তি পাচ্ছিল।
এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময়ে, প্রথম বন্ধুটির এমন মন্তব্য দ্বিতীয় বন্ধুটিকে আহত করে। দ্বিতীয় বন্ধুটি জানায়, সে তার বন্ধুর উপর অসন্তুষ্ট নয়, বরং সে তার আর্থিক অবস্থার জন্য দুঃখিত।
আলোচনায় জানা যায়, প্রথম জন যখন তার স্কলারশিপের কথা জানায়, তখন দ্বিতীয় জন তাকে অভিনন্দন জানাতে পারেনি। বরং সে জানায়, “আমি ভাগ্যবান যে আমাকে কলেজের খরচ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। সত্যি বলতে, আমি টিউশন ফি বাবদ কিছু টাকা ফেরতও পাচ্ছি।”
এই কথাগুলো প্রথম জনের ভালো লাগেনি। সে জানায়, তার মনে হয়েছিল, এই মুহূর্তে এমন কথা বলার কোনো প্রয়োজন ছিল না।
পরে, যখন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কলারশিপের ফল প্রকাশিত হয়, তখন দেখা যায়, দ্বিতীয় জন সেটি পায়নি, তবে তার বন্ধু সেটি পেয়ে যায়। প্রথম জন তখন ঈর্ষা প্রকাশ করে জানায়, “আমি ঈর্ষান্বিত।” এই মন্তব্যের পর, তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
দ্বিতীয় জনের মতে, সে বন্ধুকে তার দারিদ্র্যের জন্য দায়ী করেনি, কিন্তু তার এমন মন্তব্যের কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।
এই ঘটনার সূত্র ধরে অনেকেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ মনে করেন, প্রথম জনের ঈর্ষা প্রকাশ করা উচিত হয়নি।
আবার কারো মতে, আর্থিক বিষয় নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে এমন মানসিক চাপ তৈরি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছাত্রজীবনে আর্থিক বিষয়গুলি অনেক সময় বন্ধুত্বের সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। স্কলারশিপ এবং আর্থিক সহায়তা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে তৈরি হওয়া এই সমস্যাটি সম্ভবত আমাদের সমাজের একটি পরিচিত চিত্র।
বিশেষ করে, যখন উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে, তখন বন্ধুদের মধ্যে এই ধরনের অনুভূতি আসতেই পারে। এই পরিস্থিতিতে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং আলোচনা করা প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: পিপল