বর আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন একজন নারীর বিয়ের তারিখ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। তার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটির মেয়ের প্রথম জন্মদিন এবং বিয়ের অনুষ্ঠান একই সময়ে হওয়ার কারণে বন্ধুটি বেশ মন খারাপ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা চলছে, যেখানে অনেকেই তাদের মতামত জানাচ্ছেন।
জানা গেছে, ওই নারীর বয়স ৩৬ বছর এবং তিনি গত বছর আগস্ট মাসে বাগদান সম্পন্ন করেন। বিয়ের তারিখ ছিলো ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ।
কিন্তু বিয়ের ভেন্যুটি তাদের তারিখ পরিবর্তন করতে বললে নভেম্বরের ১ তারিখে বিয়ের দিন ঠিক হয়।
নববধূর ভাষ্যমতে, তার বন্ধু ৩৭ বছর বয়সী এবং তিনি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে মেয়ের প্রথম জন্মদিন পালন করতে চান। তাদের বন্ধুটি যখন জানতে পারেন যে বিয়ের তারিখ তার মেয়ের জন্মদিনের কাছাকাছি, তখন তিনি বেশ হতাশ হন।
কারণ, মেয়ের প্রথম জন্মদিনে তিনি মেয়ের সাথে থাকতে চান। যদিও বিয়ের অনুষ্ঠানেও তার মেয়ে উপস্থিত থাকবে, কিন্তু মেয়ের বয়স তখন এক বছর হওয়ায় সে হয়তো বুঝতেই পারবে না যে এটি তার জন্মদিন।
ওই নারী জানিয়েছেন, তার বন্ধু হয়তো বিষয়টিকে সেভাবে দেখছেন না। তিনি মনে করেন, বিয়ের তারিখটি তিনি ইচ্ছে করে ঠিক করেননি এবং তাদের বিয়ের পরিকল্পনা মেয়ের জন্মের অনেক আগে থেকেই ছিল।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে অনেকে নববধূকে সমর্থন করেন। তাদের মতে, বিয়ের তারিখ পরিবর্তনের কোনো প্রয়োজন নেই।
কারণ, বন্ধুটির অনুভূতির যেমন মূল্য আছে, তেমনি নববধূর অনুভূতিরও মূল্য রয়েছে।
তবে, কেউ কেউ মনে করেন, নববধূ তার বন্ধুর অনুভূতির প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেননি। তাদের মতে, বন্ধুর যদি মেয়ের প্রথম জন্মদিন পালনের জন্য ওই সময়টা প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদের দু’জনেরই বিষয়টি মেনে নেওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি দোষারোপ না করে পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবসময়ই বিশেষ। এই ঘটনায় একদিকে যেমন বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, তেমনি রয়েছে একটি শিশুর প্রথম জন্মদিনের আনন্দ।
উভয় পক্ষের কাছেই তাদের নিজস্ব অনুভূতির গুরুত্ব রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল