পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণ: শোকের ছায়া বিশ্বজুড়ে, শোক প্রকাশ করলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস, ৮৮ বছর বয়সে ইস্টার সানডে’র পরের দিন, অর্থাৎ ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে মারা যান।
তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। ভ্যাটিকানের সান্তা মার্তা হাউসে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স শোক প্রকাশ করে জানান, পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের খবর শুনে তিনি মর্মাহত।
তিনি জানান, পোপের সঙ্গে তাঁর আগের দিন সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং সেই সময় পোপকে বেশ অসুস্থ দেখাচ্ছিল।
খবর অনুযায়ী, পোপ ফ্রান্সিস অসুস্থ অবস্থাতেও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর পরিবারের জন্য তিনটি বড় আকারের ইস্টার এগ, একটি ভ্যাটিকান টাই ও কিছু রোজারি উপহার দেন।
পোপের প্রয়াণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে আসে বিশ্বজুড়ে।
ক্যাথলিক চার্চের প্রধান হিসেবে, পোপ ফ্রান্সিস বিশ্বের প্রায় ১৩০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিস্টানের ধর্মগুরু ছিলেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।
এর আগে তিনি ফুসফুসে প্রদাহের কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “গভীর শোকের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি, আমাদের পবিত্র পিতা ফ্রান্সিস প্রয়াত হয়েছেন।
তিনি সবসময় ঈশ্বরের এবং তাঁর চার্চের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “তিনি আমাদের সুসমাচারের মূল্যবোধ বিশ্বস্ততা, সাহস এবং সার্বজনীন প্রেমের সঙ্গে, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের প্রতি ভালোবাসার মাধ্যমে বাঁচতে শিখিয়েছেন।
প্রভু যীশুর সত্যিকারের শিষ্য হিসেবে তাঁর উদাহরণ আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণে বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তাঁরা তাঁদের ধর্মগুরুকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল