যুক্তরাজ্যে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনায়, ২০ বছর বয়সী এক যুবকের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলস্বরূপ পুলিশের ধাওয়া এবং মারাত্মক দুর্ঘটনায় সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। জানা গেছে, মাজিয়ার আজারবুনিয়াদ নামের ওই যুবক, যিনি একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক, তার প্রথম ডেটিং শেষে এক তরুণীকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার পথে এই দুর্ঘটনার জন্ম দেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৯ই এপ্রিল, গভীর রাতে। মাজিয়ার তার বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় গাড়ির পেছনের আলোতে ত্রুটি দেখতে পেয়ে পুলিশ তাকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি পুলিশের নির্দেশ অমান্য করে দ্রুতগতিতে পালিয়ে যান।
এর পরেই শুরু হয় পুলিশের ধাওয়া, যা টাইনসাইডের উত্তর ইংল্যান্ডে একটি ভয়াবহ মাল্টি-গাড়ি দুর্ঘটনায় রূপ নেয়।
আদালতে পেশ করা তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় মাজিয়ারের গাড়ি সহ পাঁচটি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি পুলিশের গাড়ির ছাদ সম্পূর্ণভাবে উড়ে যায় এবং দরজাগুলো ভেঙে যায়।
জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় একটি সাদা পোশাকের ভলভো গাড়ি, যা ঘণ্টায় ১৩৫ মাইল বেগে ছুটছিল, সেটিও এই দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।
আদালতে মাজিয়ার স্বীকার করেছেন যে ঘটনার সময় তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এছাড়াও, যে তরুণীর সাথে তিনি ছিলেন, তার কাছে কিছু পরিমাণ গাঁজা পাওয়া গেছে।
এই ঘটনার জেরে সাত জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং পাঁচটি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজারবুনিয়াদ, যিনি ১৫ বছর বয়সে ইরান থেকে যুক্তরাজ্যে আসেন, দুর্ঘটনার পরেও জামিনের শর্ত ভেঙে আরও চারবার গাড়ি চালিয়েছিলেন। এছাড়াও, তার কোনো বীমাও ছিল না।
সরকারি কৌঁসুলি জানান, দুর্ঘটনার দুই দিন পরেই তার এমন আচরণ “অত্যন্ত অবিবেচনাপূর্ণ” ছিল। অভিযুক্তের আইনজীবী জানিয়েছেন, তার মক্কেল নিজের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত এবং ঘটনার সময় তিনি “ভীষণ ঘাবড়ে গিয়েছিলেন”।
আজারবুনিয়াদ এর আগে কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন না। আগামী ২০শে মে নিউক্যাসল ক্রাউন কোর্টে তার সাজা ঘোষণা করা হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল