ওহাইও-র বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে দুই বছরের শিশুকে “নোংরা” ঘরে তালাবন্দী করে কর্মস্থলে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত জশুয়া মেরজ নামের ওই ব্যক্তি তার বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুটিকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে একটি অপরিষ্কার ঘরে আটকে রেখেছিলেন।
গত ৮ই এপ্রিলের এই ঘটনার পর, হ্যামিল্টন কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মেরজের বিরুদ্ধে দুটি ধারায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার সময় শিশুটিকে ঘরে একা রেখে কাজে গিয়েছিলেন মেরজ।
পরে মেরজের বাবা শিশুটিকে উদ্ধার করেন এবং তিনিই পুলিশকে খবর দেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, মেরজ শিশুটিকে “নিষ্ঠুরভাবে” আটকে রেখেছিলেন, যা শিশুদের শারীরিক ক্ষতির কারণ হতে পারতো। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, মেরজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো গুরুতর, যার মধ্যে একটি তৃতীয়-ডিগ্রী অপরাধ এবং অপরটি প্রথম-ডিগ্রী ছোটখাটো অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে, মেরজের সর্বোচ্চ সাড়ে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
হ্যামিল্টন কাউন্টি প্রসিকিউটর, কনি পিলিচ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “কোনো অবস্থাতেই ২ বছর বয়সী শিশুকে একা বাড়িতে রেখে যাওয়া উচিত নয়। যারা নিজেদের কথা বলতে পারে না, তাদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমরা এই মামলায় ঠিক সেটাই করব।”
জানা গেছে, ঘটনার দিনই মেরজকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২৫,০০০ ডলারের জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগে তাকে হ্যামিল্টন কাউন্টি জাস্টিস সেন্টারে রাখা হয়েছিল।
মেরজের বাবা ব্রুস মেরজ স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তিনিই তার ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন এবং আত্মসমর্পণ করতে বলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, “এটা হৃদয়বিদারক। জীবনে করা সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল, কিন্তু এটাই সঠিক ছিল। জশ এটা জানে।”
যদি কোনো শিশুর প্রতি নির্যাতনের সন্দেহ হয়, তাহলে সাহায্যের জন্য চাইল্ডহেল্প ন্যাশনাল চাইল্ড অ্যাবিউজ হটলাইনে ফোন করুন: ১-৮০০-৪-এ-চাইল্ড অথবা ১-৮০০-422-4453।
তথ্য সূত্র: পিপল