বাংলার ফ্যাশন দুনিয়ায় প্রায়ই নতুন নতুন ট্রেন্ড আসে, আর সেই ট্রেন্ডগুলো অনুসরণ করেন ফ্যাশন সচেতন নারীরা। সম্প্রতি, ডিউক ও ডাচেস অফ সাসেক্স-এর ডাচেস মেগান মার্কেলকে একটি পোশাকে দেখা গেছে, যা এখন ফ্যাশনপ্রেমীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
গরমের এই সময়ে আরামদায়ক পোশাক হিসেবে শার্ট ড্রেস বা শার্টের মতো দেখতে পোশাকের কদর বাড়ে।
মেগান মার্কেলের এই পোশাকটি ছিলো একটি স্লিভলেস শার্ট ড্রেস। শুধু মেগানই নন, জেনিফার লোপেজ থেকে শুরু করে গিনেথ প্যালট্রোর মতো তারকারাও এই ধরনের পোশাক পরতে ভালোবাসেন। এর প্রধান কারণ হলো, এই পোশাকগুলো একদিকে যেমন স্মার্ট লুক দেয়, তেমনই গরমে পরার জন্য খুবই আরামদায়ক।
শার্ট ড্রেসের সামনের বোতামগুলো পোশাকটিকে লেয়ারিং করার সুযোগ দেয়, যা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ভিন্ন লুক দিতে সহায়ক।
বাংলাদেশের গরম ও আর্দ্র আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে এই ধরনের পোশাক খুবই উপযোগী। শার্ট ড্রেস-এর স্টাইলটি একইসঙ্গে রুচিশীল এবং আরামদায়ক। বাজারে বিভিন্ন ধরনের শার্ট ড্রেস পাওয়া যায়, যা এই গরমে আপনাকে দেবে স্বস্তি।
এক্ষেত্রে, আপনি আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করতে পারেন।
এই পোশাকগুলো বিভিন্ন স্টাইলে পাওয়া যায়। কেউ কেউ মিডি (midi) লেন্থ পছন্দ করেন, যা পায়ের অনেকটা অংশ ঢেকে রাখে। আবার কেউ শর্ট বা হাঁটু পর্যন্ত লম্বা পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
শার্ট ড্রেসের সাথে কোমরে বেল্ট বা ফিতা ব্যবহার করে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় লুক তৈরি করা যায়।
এই পোশাকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এটি সহজেই ফরমাল এবং ক্যাজুয়াল—উভয় ধরনের অনুষ্ঠানে পরা যেতে পারে।
অফিসের মিটিংয়ে অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায়—যে কোনো জায়গাতেই শার্ট ড্রেস আপনাকে স্মার্ট এবং আকর্ষণীয় করে তুলবে।
বর্তমানে, বিভিন্ন অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্মেও এই ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজন, নর্ডস্ট্রম-এর মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোতেও এই পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া, দেশীয় ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোতেও শার্ট ড্রেস পাওয়া যায়। কাপড় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুতির মতো আরামদায়ক এবং হালকা ফেব্রিক বেছে নেওয়া যেতে পারে।
আপনি যদি এই গ্রীষ্মে ফ্যাশনে একটি নতুন মাত্রা যোগ করতে চান, তবে মেগান মার্কেলের মতো একটি শার্ট ড্রেস বেছে নিতে পারেন। এটি যেমন আপনাকে গরমে আরাম দেবে, তেমনি ফ্যাশনেও আপ-টু-ডেট রাখবে।
তথ্য সূত্র: পিপল