নতুন খবর: বিবাহ বিচ্ছেদ ও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যায় জর্জরিত, সাহায্য চেয়েছেন ‘দ্য ভ্যালি’ খ্যাত জ্যাক্স টেইলর।
যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘দ্য ভ্যালি’-র পরিচিত মুখ জ্যাক্স টেইলর সম্প্রতি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা এবং দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি বর্তমানে কঠিন সময় পার করছেন।
সম্প্রতি তিনি মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসার জন্য একটি কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন এবং সেখানে এক মাস থাকার কথা রয়েছে।
৪৫ বছর বয়সী জ্যাক্স জানিয়েছেন, তার মনে শান্তি নেই। তিনি জানান, তার ছেলে ক্রুজের জন্মের পরই যেন তিনি খুশি হতে ভুলে গিয়েছেন।
স্ত্রী ব্রিটানি কার্টরাইটের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে এবং তাদের মধ্যে বিচ্ছেদের সম্ভবনা তৈরি হয়েছে। জ্যাক্সের অভিযোগ, ব্রিটানি তাকে ভালোবাসেন না।
অন্যদিকে, কৃস্টেন ডাউট নামের এক বন্ধুর সঙ্গে কথোপকথনে জ্যাক্সের অতীতের কিছু ভুলের কথা তুলে ধরেন ব্রিটানি। কৃস্টেন জানান, তিনি বহুবার ব্রিটানিকে কাঁদতে দেখেছেন, যখন জ্যাক্স তাকে কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন।
জ্যাক্স অবশ্য এইসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ব্রিটানির মতো নারীকে তিনি ভালোবাসেন এবং কখনোই এমন কথা বলেননি।
তবে কৃস্টেন তার কথায় আস্থা রাখতে পারেননি। তিনি জানান, গত তিন বছরে তিনি জ্যাক্সকে প্রায়ই এমন কথা বলতে শুনেছেন। এমনকি যখন ব্রিটানি ক্রুজের গর্ভবতী ছিলেন, তখনও তিনি একই রকম আচরণ করেছেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সাহায্য চাওয়ার সিদ্ধান্তকে জ্যাক্স তার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জানা গেছে, এই চিকিৎসার জন্য তাকে প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার সমান।
চিকিৎসার আগে ব্রিটানি এবং জ্যাক্সের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। ব্রিটানি জানান, তিনি এখন জ্যাক্সকে আগের মতো চেনেন না।
তিনি আরও জানান, জ্যাক্সের এমন আচরণের কারণে তাকে থেরাপির সাহায্য নিতে হয়েছে। ব্রিটানি জ্যাক্সকে সতর্ক করে বলেন, যদি তিনি পুরো এক মাস চিকিৎসা কেন্দ্রে না থাকেন, তাহলে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করবেন এবং ছেলের সম্পূর্ণ অভিভাবকত্ব নিজের কাছে চাইবেন।
একইসঙ্গে তিনি জ্যাক্সের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
জ্যাক্স তার বন্ধু জ্যাসন ক্যাপার্নার সঙ্গে কথা বলার সময় জানান, তিনি এখন “ভেতর থেকেempty” হয়ে গিয়েছেন এবং ছেলের জন্যই এই চিকিৎসা নিতে রাজি হয়েছেন।
বর্তমানে জ্যাক্স মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে রয়েছেন এবং সেখানে তিনি এক মাস থাকার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, তিনি মাদকাসক্তিতেও ভুগছিলেন। তবে বর্তমানে তিনি মাদক এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে রয়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল