মোঃ মেহেদী হাসান, স্টাফ রিপোর্টার।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদ-উল-আযহার টানা ছুটি কালীন সময়ে,পিরোজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধিভুক্ত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র সহ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো স্বাভাবিকভাবেই তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
গত ৫ই জুন থেকে ১৪ই জুন পর্যন্ত পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।এরই ধারাবাহিকতায় ৫ই জুন থেকে শুরু হয়েছিল ঈদুল আযহার ছুটি। ঘোষণা অনুযায়ী,ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার কথা ছিল ১৫ই জুন। টানা দশ দিন ছুটি ভোগ করছে সরকারি কর্মকর্তা- কর্মচারীরা।
অপরদিকে সারা দেশের ন্যায় পিরোজপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের অধিভুক্ত সকল মা ও শিশু কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেগুলো তাদের স্বাভাবিকভাবে সেবা দান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে অন্যান্য দিনের মতো ঈদুল আযহার ছুটিতেও রোগীদের সেবা দান কর্মসূচি একইভাবে প্রদান করা হচ্ছে ।
পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন রোগী ঈদুল আযহার ছুটিতেও সেবা নিতে এসেছেন, তাদের ভিতর গর্ভবতী মা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা সেবা নেওয়ার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন, তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান ঈদের ছুটিতে আমরা এখানে এসেও স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছি এজন্য যারা এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছে তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।কারণ ঈদের সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো যদি বন্ধ থাকে তাহলে একটা মানুষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা একজন মা/বোন যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। আমরা এখানে এসে ভালো চিকিৎসা সেবা পেয়েছি।
এছাড়াও বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে গিয়ে রোগীদের সেবাদানের এ কার্যক্রম দেখা যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ হোসেন বলেন, পিরোজপুর জেলায় ৪৩ টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ও ০৫টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা প্রদান চলমান রয়েছে,আমরা সরকারের নির্দেশনা মেনে জনসাধারণের সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা এ সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। আমাদের সামান্য আনন্দ ও ত্যাগের মাধ্যমে যদি সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা পায় এটাই আমাদের আনন্দ ও তৃপ্তি।
আমরা জনসাধারণের সেবা করার মাধ্যমে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি এবং আমাদের এই সেবা কার্যক্রম ভবিষ্যতেও আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।