বরখাস্ত হলেন বন্ধুত্বের সম্মান, বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে মনোমালিন্যে!
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের গভীরতা সবসময়ই আলোচনার বিষয়। তবে, জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনার পরিকল্পনা নিয়ে মতের অমিল হলে, সেই সম্পর্ক কতটা দুর্বল হয়ে যেতে পারে, তারই একটি দৃষ্টান্ত পাওয়া গেছে সম্প্রতি।
বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে বান্ধবীকে ‘গার্ড অফ অনার’ এর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এক তরুণী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন কেইট নামের এক তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর কেইটের বাল্যকালের বান্ধবী, ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী, যিনি মূলতঃ ‘ওপি’ নামে পরিচিত, সঙ্গে সঙ্গেই ‘গার্ড অফ অনার’ হতে রাজি হন।
বন্ধুদের মধ্যে এমন একটি দায়িত্ব পাওয়াটা আনন্দের ছিল, কারণ তিনি কেইটের পাশে থেকে সব কাজে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু বিয়ের পরিকল্পনা শুরু হওয়ার পর থেকেই যেন সব কিছু অন্যরকম হতে শুরু করে। ওপি জানান, কেইট একাই বিয়ের পরিকল্পনা করতে শুরু করেন এবং তাঁকে কোনো কিছুই জানাননি।
প্রথমে ওপি ভেবেছিলেন, হয়তো কেইট নিজের মতো করে সব গুছিয়ে নিচ্ছেন, কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, তাকে কার্যত কোনো বিষয়েই জড়ানো হচ্ছে না। বিয়ের পোশাক থেকে শুরু করে অতিথি তালিকা—কোনো কিছুতেই তাঁর মতামত নেওয়া হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ হতাশ হয়ে পড়েন।
বিষয়টি যখন চূড়ান্ত রূপ নেয়, যখন কেইট জানান যে তিনি ব্রাইডমেইড-এর পোশাক নির্বাচন করেছেন এবং বিয়ের সব বুকিং সম্পন্ন করেছেন, অথচ ওপিকে সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
নিজেকে একরকম কোণঠাসা মনে হচ্ছিল তাঁর।
এর পরেই ওপি, কেইটকে তাঁর অনুভূতির কথা জানান। তিনি জানান, তাঁকে যেন কোনো গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি চাননি তাঁদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরুক, কিন্তু এমন একটি অবস্থানে থাকতেও রাজি ছিলেন না যেখানে তাঁর কোনো মতামত বা অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
এই ঘটনার পর ওপি সামাজিক মাধ্যম ‘রেডিট’-এ তাঁর এই সিদ্ধান্ত সঠিক কিনা, সেই বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে পোস্ট করেন। সেখানে অনেকেই ওপির এই আচরণকে ‘স্বার্থপরতা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
তাঁদের মতে, বিয়ের পরিকল্পনা করার দায়িত্ব তাঁর নয়, বরং কেইটকে সমর্থন করাটাই তাঁর মূল কাজ।
তবে, কোনো কোনো ব্যবহারকারী এমনও মন্তব্য করেছেন যে, কেইটের বিয়েতে তাঁর পছন্দের বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, বিয়ের মূল আকর্ষণ তো কেইটই।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে এখনো আলোচনা চলছে। অনেকেই তাঁদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে মন্তব্য করছেন।
বন্ধুত্বের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া কতটা জরুরি, এই ঘটনা যেন তারই একটি উদাহরণ।
তথ্য সূত্র: পিপল