“জুলি কিপস কোয়াইট” – তরুণ ক্রীড়াবিদদের সুরক্ষার বার্তা নিয়ে আসা একটি চলচ্চিত্র।
বেলজিয়ামের চলচ্চিত্র নির্মাতা লিওনার্দো ভ্যান ডিজিল-এর নতুন ছবি ‘জুলি কিপস কোয়াইট’ (Julie Keeps Quiet)। ছবিটি মূলত ১৫ বছর বয়সী এক টেনিস খেলোয়াড়, জুলিকে নিয়ে তৈরি, যেখানে তার কোচের দ্বারা সম্ভাব্য অপব্যবহারের ইঙ্গিত রয়েছে।
ছবিতে শিশুদের খেলার জগতে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি এবং তাদের সুরক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই ছবিতে অভিনয় করেছেন টেনিস খেলোয়াড় তেসসা ভ্যান ডেন ব্রোয়েক।
চলচ্চিত্রটি নির্মাণে শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ছবিটির পরিচালক ভ্যান ডিজিল, শিশুদের খেলার জগতে তাদের প্রতি কিভাবে আচরণ করা হয়, সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
তিনি মনে করেন, খেলাধুলায় শিশুদের প্রায়ই প্রাপ্তবয়স্কদের মতো করে দেখা হয়, যা আসলে ভুল।
ছবির গল্পে দেখা যায়, ১৫ বছর বয়সী জুলি প্রায়ই তার প্রশিক্ষক এবং ফিজিওথেরাপিস্টের সঙ্গে একা থাকে, যা তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
ভ্যান ডিজিল বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, কীভাবে একটি শিশুর সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় যেন সে প্রাপ্তবয়স্ক এবং এর মাধ্যমে তাকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করা হয়।
এই ছবিতে জাপানি টেনিস তারকা নাওমি ওসাকা একজন নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে যুক্ত হয়েছেন।
খেলাধুলার জগতে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার জন্য ওসাকা তরুণ খেলোয়াড়দের কাছে এক অনুপ্রেরণা।
এই ছবিতে শিশুদের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
ভ্যান ডিজিল জানিয়েছেন, ছবিটির শুটিংয়ের সময় তিনি তেসসার সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
সেটের পরিবেশ শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক রাখতে চেয়েছেন তিনি।
তেসসার বাবা-মাকে সেটে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যাতে তাদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে তেসসার ভালো-মন্দ নিয়ে আলোচনা করা যায়।
এছাড়া, সেটে অন্য শিশুদেরও রাখা হয়েছিল, যারা তেসসার টেনিস ক্লাবের সদস্য।
ছবিটি তৈরি করার সময়, ভ্যান ডিজিল শিশুদের সঙ্গে একা সময় কাটানো থেকে বিরত ছিলেন।
তিনি সব সময় নিশ্চিত করেছেন, তৃতীয় একজন ব্যক্তি যেন সেখানে উপস্থিত থাকেন।
শিশুদের কোনো প্রশ্ন থাকলে, তা সরাসরি জিজ্ঞাসা করার জন্য উৎসাহিত করা হতো।
‘জুলি কিপস কোয়াইট’ ছবিটি শুধু একটি চলচ্চিত্রের গল্প নয়, বরং খেলাধুলায় শিশুদের নিরাপত্তা এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
এই ছবি, শিশুদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং তাদের সুরক্ষার জন্য আরও সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানায়।
তথ্য সূত্র: The Guardian