লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ(স্টাফ রিপোর্টার)।
প্রতি বছরের নেয় এ বছরও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আখাউড়া উপজেলা সহ সারা বাংলাদেশে হিন্দু সনাতনীরা পালন করছে শারদীয় দুর্গা উৎসব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলায় এ বছর ২৪টি মন্ডপে হচ্ছে দূর্গা মায়ের পূজা।
আজ পহেলা ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা।
লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী, আজ ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী, ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১১ অক্টোবর মহাষ্টমী ও ১২ অক্টোবর মহানবমী। এরপর ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গোৎসবের।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা বুধবার থেকে শুরু, যা আগামী ১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সারাদেশে এ বছর ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
এদিকে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা সাজানোর কাজ। এছাড়াও বিভিন্ন মন্ডপকে জাকজমকপূর্ণ করতে বর্ণিল সাজে তৈরী করা হচ্ছে প্যান্ডেলসহ বিভিন্ন অস্থায়ী ডেকোরেটেড স্থাপনা।
পূজার বিষয়ে জানতে চাইলে আখাউড়া রাধামাধব কেন্দ্রীয় মন্দির পরিচালনা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী এবং আখাউড়া পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক দীপক কুমার ঘোষ ও সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু জানান, এবছর আখাউড়া উপজেলায় ২৪টি মন্ডপে পূজা হবে, পূজা উদযাপনের সময় যে কোন আপত্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে প্রশাসন। এবং আইন-শৃঙ্খলার পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়েত ইসলামী পূজা উদযাপনে সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও তিনি জানান। আরো জানান পূজার স্থানগুলো হলো পৌরসভায় ৯টি, মোগরা ও মনিয়ন্দ ইউনিয়নে ৪টি করে ৮টি, ধরখার ইউনিয়নে ৫টি ও উত্তর ইউনিয়নে ২টি মন্ডপে পূজা হবে। আরো জানান গত বছরের তুলনায় এবছর ২টি পূজা বেড়েছে, এবার ধরখার ইউনিয়ন ঘোলখার গ্রামে নতুন ২টি পূজা হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, গত বছরের তুলনায় এবছর পূজা কমেছে, এর আগে হয়েছিল ৬০৫টি এবছ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৫৪৯টি মন্ডপে পূজা হবে, এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা সম্পন্ন করতে প্রশাসনের সাথে একাধিকবার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূজা নিরাপত্তা ব্যাপারে আখাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম জানান, আখাউড়া উপজেলা ২৪টি পূজা হচ্ছে, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান সাহেবের দিক নির্দেশনায় আখাউড়া ২৪টি পূজার প্রত্যেকটি মন্ডপে আমি ওসি মোহাম্মদ আবুল হাসিম পরিদর্শন করছি। সকল মন্ডপগুলোর সার্বিক নিরপাত্তায় সিসিটিভি স্থাপনসহ সব ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার প্রত্যেকটি পূজা মন্দিরে ও মন্ডপে স্পেশাল পুলিশ, গোয়েন্দা নিয়োগ রয়েছে, এবং মন্দির ও পূজা মন্ডপের আশেপাশে কাউকে সন্দেহ হলেই, আইন নিজের হাতে না নিয়ে, কোন আপত্তিকর ঘটনা না ঘটিয়ে, পুলিশকে জানানো জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে, সকলের সমন্বয়ে ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আনন্দমূখর পরিবেশে বৃহৎ এ শারদী দূর্গা উৎসব পালিত হবে বলে আমরা আশাবাদী।